এই সময়ে শিশু, কিশোর আর তরুণদের মধ্যে যেসব মানসিক লক্ষণ বেশি দেখা দিতে পারে, তা হলো:
• ঘুমের রুটিন পরিবর্তন হয়ে যাওয়া: সারা রাত জেগে থাকা আর সারা দিন ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে উঠতে পারে। ফলে মস্তিষ্কের বায়োলজিক্যাল ক্লক এলোমেলো হয়ে যায়, যা আবেগ আর আচরণকে পরিবর্তন করে ফেলে।
• কোনো কাজে মন বসে না: কোনো কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারে না। এমনকি পছন্দের বিষয়টিতেও।
• জরুরি বিষয়গুলো ভুলে যাওয়া: সাধারণ বিষয়গুলোও ভুলে যেতে থাকে। দৈনন্দিন বিষয়গুলো মনে রাখতে না পারা।
• আবেগজনিত অসুবিধা: আবেগের বহিঃপ্রকাশ খুব বেশি হতে পারে, আবার কারও কারও আবেগ ভোঁতা হয়ে যেতে পারে। কেউ বেশি বেশি কান্নাকাটি করে, কেউবা একদম স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে, কেউ বিনা কারণে অতি উৎফুল্লও হতে পারে!
• আচরণের সমস্যা: হঠাৎ রেগে যাওয়া। আগ্রাসী আচরণ করা। এলোমেলো কথা বলার মতো লক্ষণও থাকতে পারে কারও কারও মধ্যে।
• পারিবারিক সম্পর্কের অবনতি: দেখা যায় এই সময় কাছের মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে এবং সম্পর্কগুলো নষ্ট হচ্ছে।
• বিভিন্ন শারীরিক লক্ষণ: বুক ধড়ফড় করা, ফুসফুসের সব ঠিক থাকা সত্ত্বেও নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি, ঘাম হওয়া, হাত–পা ঠান্ডা হয়ে আসা, শরীরে শক্তি না পাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• আসক্তি বেড়ে যাওয়া: বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে আসক্তি বেড়ে যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাদকাসক্তিও দেখা যায়।
• চেনা জায়গা বা চেনা মানুষ চিনতে না পারা: অনেক সময় তীব্র মানসিক চাপের কারণে আশপাশের পরিচিত মানুষ, স্থান, সময় ইত্যাদি সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হতে পারে।
• শিশুদের বিশেষ সমস্যা: একদম যারা ছোট শিশু—তারা মা-বাবাকে বেশি করে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়। কেউবা নিজেকে গুটিয়ে রাখে। কেউ বেশি কান্নাকাটি করে, মা–বাবাকে সারাক্ষণ প্রশ্ন করতে থাকে। কেউবা বিছানায় প্রস্রাব করা শুরু করে।