কিংবদন্তি বলিউড অভিনেতা দিলীপ কুমার না ফেরার দেশে

ভারত থেকে সঞ্চিতা সেন গুপ্তা কবি ও সাংবাদিক – ভারতীয় কিংবদন্তি বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমার আর নেই। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শেষ সময়ে তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু পাশে ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরেই বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন দিলীপ কুমার। মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। দিলীপ কুমারের ছয় দশকের ক্য্যারিয়ারে তিনি ৬৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার স্ত্রী মুম্বাই চলচ্চিত্রের আরেক অভিনেত্রী সায়রা বানু। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শেষ সময়ে স্ত্রী সায়রা বানু পাশে ছিলেন তাঁর। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন দিলীপ কুমার। মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত ৩০ জুন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক দিন আগেই তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে টুইটারে জানিয়েছিলেন সায়রা বানু।দিলীপ কুমারের আসল নাম ইউসুফ সারোয়ার খান। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ সারোয়ার খান, যিনি একজন ফল ব্যবসায়ী ছিলেন।
কৈশোরে মুম্বাই থেকে পুনে গিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের জন্য পরিচালিত একটি ক্যান্টিনে কাজ নেন দিলীপ কুমার।
এর কিছু দিন পর আবারও মুম্বাইয়ে (তৎকালীন বোম্বে) ফিরে বাবার সঙ্গে ব্যবসায় যোগ দেন তিনি।
ব্যবসার কাজেই একসময় ইউসুফ খানের পরিচয় হয় সেই সময়কার প্রখ্যাত সাইকোলজিস্ট ডা. মাসানির সঙ্গে, যিনি দিলীপ কুমারকে পরিচয় করিয়ে দেন ‘বোম্বে টকিজ’-এর মালিকের সঙ্গে।
১৯৪৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ইউসুফ খান যান চাকরি খুঁজতে, কিন্তু সেখানকার স্বত্বাধিকারী দেবিকা রানী তাঁকে অভিনেতা হওয়ার প্রস্তাব দেন। সিনেমায় তাঁর নাম বদলে দিলীপ কুমার রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯৪৪ সালে মুক্তি পায় দিলীপ কুমারের প্রথম ছবি ‘জোয়ার ভাটা।’ প্রথম দিকে দিলীপ কুমারের কয়েকটি ছবি ব্যবসাসফল ছিল না।
১৯৬০ সালে ভারতের ইতিহাসের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা ‘মুঘল-এ-আজম’ দিলীপ কুমারের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।