১৪ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন চলবে
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে শিথিল হচ্ছে লকডাউন। শ্রমজীবী মানুষের জীবিকার কথা বিবেচনা করে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ আগামী বৃহস্পতিবার থেকে অনেকটাই শিথিল হয়ে যাচ্ছে। কঠোর চলমান বিধিনিষেধ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন, দোকানপাটসহ প্রায় সবকিছুই চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কোরবানির হাটও চলবে। এসব বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুয়ায়ী কিছু নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলবে সব ধরনের গণপরিবহণ। ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে শুধুমাত্র অনলাইনে। খুলে দেয়া হবে দোকানপাট ও শপিং মল। সরকারি অফিস ভার্চুয়ালি খোলা থাকলেও, বন্ধ থাকবে বেসরকারি অফিস।
ঈদ সামনে রেখে পশুরহাট, মানুষের জীবন-জীবিকা বিবেচনা করে বিধিনিষেধ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবারো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এ সময় সব সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ শিল্প-কলকারখানাও বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে।
তবে, বিধিনিষেধ শিথিল থাকাকালীন জনসাধারণকে সতর্ক থাকা এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় ১লা জুলাই থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ৫ জুলাই আরেক দফায় চলমান কঠোর বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। জরুরি পরিসেবার আওতাভুক্ত গাড়ি ও পণ্য পরিবহণ ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।