পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘোরিয়া) আসনের আসন্ন উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের প্রচার-প্রচরণা শুরু হয়েছে। বুধবার প্রতীক বরাদ্দের পর বিকেল হতেই মাইকে প্রচারণা চলছে। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নৌকার কিছু পোস্টার ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর পোস্টার চোখে পড়েনি। নৌকা ও ধানের শীষের মাইকে প্রচারণা শোনা গেলেও লাঙ্গলের প্রচারণা দৃশ্যমান হয়নি।পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘোরিয়া) আসনের আসন্ন উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের প্রচার-প্রচরণা শুরু হয়েছে। বুধবার প্রতীক বরাদ্দের পর বিকেল হতেই মাইকে প্রচারণা চলছে। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নৌকার কিছু পোস্টার ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর পোস্টার চোখে পড়েনি। নৌকা ও ধানের শীষের মাইকে প্রচারণা শোনা গেলেও লাঙ্গলের প্রচারণা দৃশ্যমান হয়নি।এই উপনির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও এই অঞ্চলের মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান বিশ্বাস (নৌকা), বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব (ধানের শীষ) এবং জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম (লাঙ্গল)।মনোনয়ন দাখিলের পর আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে দুই উপজেলায় সামাজিক দুরত্ব মেনে কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদকের উপস্থিতিতে স্মরণ সভা ও প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নেও স্মরণ সভা ও প্রতিনিধি সভার আয়োজন করে দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করে নির্বাচনে মাঠের দায়িত্ব বন্টন করা হয়।
তবে এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বিএনপি। এখানে বিএনপি’র দলীয় অর্ন্তদ্বন্দ্ব চরমে। ধানের শীষের প্রার্থী ও জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবির ঈশ্বরদীর সকল কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ায় সাংগাঠনিক জটিলতা চরমে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা জানান, দলের কমিটি নেই এবং কারও কোন পদ-পদবীও নেই। এই পরিস্থিতিতে কে কোথায় কিভাবে দায়িত্ব পালন করবো তা বুঝতে পারছি না।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী টুকুর নেতৃত্বে দলীয় উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈশ্বরদীতে আসার কথা রয়েছে। এই উপলক্ষে সাহাপুর হাই স্কুলে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিমকে দলের অনেকেই চেনেন না এবং জানেন না বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কোথায় কার সঙ্গে কাজ করবেন এখনও বুঝে উঠতে পারেননি বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল এই আসনের এমপি সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়।