করোনায় ১০ করণীয়

    স্বর্ণালী প্রিয়া ডেক্সঃমরণঘাতি ভাইরাসে থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। বাংলাদেশেও বাড়ছে এর প্রকোপ। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে গোটা দেশ স্থবির হয়ে আছে। স্কুল কলেজ, ব্যবসা বাণিজ্য, অফিস আদালত সবকিছুই বন্ধ। এই ভাইরাসটি একজন থেকে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে। সুন্দর জীবনাচার গড়ে তোলার মাধ্যমে এ থেকে আমরা বাঁচতে পারি। এছাড়া এর প্রকোপ থেকে বাঁচতে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থার নির্দেশনাগুলো পালন করছে বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্র। বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা বলছেন, আতঙ্কিত নয়, সচেতন হলেই শতভাগ নিরাপদ থাকা যাবে। এছাড়া নিরাপদ থাকার জন্য চিকিৎসকেরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলো মেনে চললে আপনিও থাকবেন নিরাপদ ১. হ্যান্ড সেনিটাইজার বা সাবান পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করা। ২. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ৩. চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলা। ৪. হাঁচি, কাশি শিষ্টাচার মেনে চলা। এর অর্থ কাশি বা হাঁচির সময় কুনুই বাঁকা বা টিসু দিয়ে মুখ এবং নাক ঢেকে রাখা। এবং পরে ব্যবহৃত টিস্যুটি নিরাপদ জায়গায় ফেলা। ৫. সরকারের বিধান অনুযায়ী ১৪ দিন বা তার অধিক সময় বাড়িতে অবস্থান করা। ৬. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। ৭. দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শাক সবজি ও পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খেতে হবে। ৮. যোগ ব্যায়াম, ধ্যান, প্রার্থনা বেশি করে করতে হবে। ৯. এসময় লেবুপানি খেতে পারেন। লেবুপানি সর্দি কাশিতে উপকারী, করোনার ক্ষেত্রেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লেবুপানি তৃষ্ণা নিবারণের পাশাপাশি শরীরে এমন বেশ কিছু উপকার সাধন করবে, যা ওষুধিগুণের মতো। ১০. কাঁচা রসুন ও আদা খান। কাঁচা রসুন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকজনিত আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও ভালো উৎস। তাই প্রতিদিন কয়েক কোয়া রসুন খেয়ে নিন। এগুলো প্রতিটি ব্যক্তির জন্য পালনীয়। পাশাপাশি বাসাবাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন, গোছালো ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঠিক রাখাটাও জরুরি।