সঞ্চিতা সেন গুপ্তা কলকাতা: করোনা আবহে পুজো হবে কী ভাবে? চিন্তায় পুজো কমিটিগুলি। ট্যাংরা শীল লেনের দাস বাড়ির ছবিটা অবশ্য অন্য। পঞ্জিকা মতে ষষ্ঠীর ৪১ দিন আগে শুক্রবার শুরু দুর্গাপুজো। পিতৃ পক্ষের কৃষ্ণা নবমীর আর্দ্রা নক্ষত্র থেকেই নিয়ম মেনে দেবীর আরধনা শুরু হয় এই বাড়িতে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতিতে অবশ্য মানা হচ্ছে কোভিড বিধি। ট্যাংরার দাস বাড়িতে মা দুর্গার বোধন হয় কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে। আর্দ্রা নক্ষত্রে দেবীর বোধন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মায়ের আরাধনার শুরু দাস বাড়িতে।
প্রতিমা চলে এসেছে। চক্ষুদান পর্ব সারা। পুরো দমে পুজো মুডে ট্যাংরার শীল লেনের এই বনেদি পরিবার। দেড় মাস ধরে উৎসব। এ বার আশ্বিন মাস মল মাস হওয়ায় মহালয়া পর্যন্ত দেবী আরধনা চলবে। তারপরের একমাস নিত্যপুজো। এমনিতে দাস বাড়ির পুজো শুরু হয় ১৬ দিন আগে কৃষ্ণপক্ষের নবমীতে। কিন্তু এ বারে মলমাস পড়ায় তিথি এগিয়ে এসেছে অনেকটা। ফলে শুক্রবারেই হয়ে যাবে দেবীর বোধন। তারপর মহালয়া পর্যন্ত পৌরাণিক নিয়মে হবে পুজো। তারপর দিন থেকে প্রতিপদ পর্যন্ত নিত্যপুজো চলবে। ফের প্রতিপদ থেকে ষষ্ঠী বিশেষ পুজোর পর সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত হবে মহাপুজো।
করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিমা থেকে পুজোর সরঞ্জাম সব স্যানিটাইজ করা হয়েছে। গোটা ফল উৎসর্গ করা হবে। দুরত্ববিধি মেনে পুজোয় বসবেন পুরোহিত। মাস্ক পরা মাস্ট। কিছু নিয়মে কাটছাঁট হয়েছ। মণ্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশিকা লাগানো হয়েছে। বাড়িতে ঢোকার সময় হাত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। পরিবারের সব সদস্যদের মায়ের কাছে একটাই প্রার্থনা। বধ হোক করোনাসুর।
কিন্ত সব পুজো যখন শুক্লা ষষ্ঠীতে শুরু হয় তখন এখানে অন্য রকম কেন? বাড়ির ছেলে প্রসেনজিৎ জানান, ”অন্যত্র রঘুনন্দন তত্ত্ব অনুসারে পূজা হয়। রঘুনন্দন যেমন একজন স্মৃতিকার ছিলেন তেমনই আর একজন স্মৃতিকার শূলপাণি। বৃহৎ নন্দীকেশ্বর পুরাণ অনুসারে তাঁর দুর্গোৎসব-বিবেক গ্রন্থ মতে পুজো হওয়া উচিত কৃষ্ণা নবমী থেকে শুক্লা নবমী পর্যন্ত। সেই রীতি মেনেই আমরা পুজো করি।”