ঠাকুরগাঁওয়ে জোরপূর্বক বিবাহ দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জন কারাগারে
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা পাল্টা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৯ আসামীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত ।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলার আসামীরা হলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রিতা আক্তার, বাবুল হোসেন, মুসলিম উদ্দীন, নিকাহ রেজিষ্ট্রার আব্দুল কাদের, আনছারুল ইসলাম, দারাসতুল্লাহ মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, সারওয়ার হোসেন, দুওসুও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও সাজু। তবে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে অন্তভূক্ত আসামী সাজু পালাতক রয়েছে।
মামলার এজাহারে জানাগেছে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের সহযোগিতায় রিতা আক্তারসহ আসামীরা ছোট সিংগীয়া লাহিড়ীহাট গ্রামের মিজানুর রহমানকে আটকে রেখে লাখ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি করলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের খাদেমুলের মেয়ের সঙ্গে ওই গ্রামের মিজানুর রহমানের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, আরো জানা যায় মিজানুরের দায়ের করা মামলার ১নং আসামী রিতা আক্তার ২০১৯ সালের ২৫ আগষ্ট মিজানুর রহমানকে ১নং আসামী করে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত আপোষ শর্তে মিজানুর রহমানকে জামিনে মুক্তি দেয়। এছাড়াও রিতা আক্তার মোহরানা ও ভোরনপোষন আদায়ে মিজানুর রহমানকে ১নং আসামি করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন, যা চলমান রয়েছে।
আসামী পক্ষের আইনজীবী আবেদুর রহমান বলেন, মিজানুর রহমানের দায়ের করা মামলার আসামীরা ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।