সবজিসহ সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী
এস আহমেদ ডেক্স প্রতিবেদনঃ বেড়েই চলেছে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের দাম। তেল, চিনি, চাল, ডাল, মাছ, মাংস, দেশি-বিদেশি মুরগি, ডিমসহ সব ধরনের পণ্যের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় হাঁপিয়ে উঠছেন ক্রেতারা। ক্রেতারা গত সপ্তাহে চাল, চিনি ও মুরগির দাম নিয়ে আলাদা করে ক্ষোভ প্রকাশ না করলেও এবার সব ধরনের পণ্যের দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ক্রেতারা বলেন, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো কাজই করছে না।নগরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম। সব রকমের সবজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে মুরগি। অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) নগরের বক্সির হাট রেয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার, কাজির দেউড়ি বাজার ঘুরে দেখা কে শোনে কার কথা? সরকার জনগণের কথা শোনে না, জনগণও সরকারে কথা শোনে না। আপনার এত নিউজ করেন দাম বাড়তি নিয়ে, কিছু হয়? আমরাও প্রতিবাদ করছি, আপনারাও লিখছেন। কিছুই হবে না।
এদিকে সরকার মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৪ এবং প্যাকেট চিনি ৭৫ টাকা নির্ধারণ করলেও বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায়।
বাজারে প্রতিকেজি শিম ১২০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা পেঁপে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি পেঁয়াজ কেজি ৭০ টাকা। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বোতল ও প্যাকেট তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।
প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫৫০ টাকা ও ছাগলের মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।