কাবুল দক্ত প্রতিবেদনঃ দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মী ও সচেতন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম গণসমাবেশ ও মিছিল আজ শনিবার (০৬ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় নগরের ডিসি হিল মুক্তাঙ্গনে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি, সাংবাদিক, গবেষক আবুল মোমেন এতে প্রধান অতিথি শহীদজায়া বেগম মুশতারি শফী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিকরা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল সংগঠক, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, পেশাজীবী, ছাত্র-যুব সংগঠকসহ সর্বস্তরের জনতাকে অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। বক্তারা বলেন, ‘দেশ স্বাধীন করতে সকল ধর্মের মানুষ একহয়ে যুদ্ধ করেছে। এদেশ কারো একার রক্তে স্বাধীন হয়নি। এই ভূখণ্ড সকল ধর্মের মানুষের। কাজেই যার যার ধর্ম সে সে পালনের অধিকার রয়েছে। বর্তমান সরকার স্বাধীনতার পক্ষের এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে এমন ঘটনা কেন ঘটছে তা খতিয়ে দেখে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তারা বলেন, ভোট এবং সম্পত্তির জন্যই সমাজে সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটানো হয়েছে। এর ফলে বিভেদ আমাদের সমাজে বড় জায়গা দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায় সমাজের পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা যে যার যার ধর্ম পালন করলেও অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করি। সুতরাং এমন কিছু করা উচিত হয়, প্রতিবেশী যে ধর্ম পালন করেছে তার ওপর আঘাত আসে। ’সমাবেশে বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে এটাকে বারবার বিপথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক নির্যাতনে সরকারি দলসহ বিভিন্ন দল জড়িত। প্রশাসনে কারা বসে আছেন, তাদের মতলবটা কি আমরা বুঝি না। প্রশাসন যদি সক্রিয় থাকত, একটি সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটতে পারত না। ’