মেঘলা আকাশ, গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি বইছে ঠাণ্ডা বাতাস
বিপ্লব সেন ডেক্সঃ রবিবার ( ৫ ডিসেম্বর )ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে সকাল থেকেই কালো মেঘে ঢেকে আছে আকাশ। সেসঙ্গে বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। তবে, ঘূর্ণিঝড় প্রভাবে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।বিকেল থেকেই আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করে।উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে পুরোপুরি পাল্টে যায়। মেঘলা আবহাওয়া ও ঠাণ্ডা বাতাস জানান দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আসছে। এছাড়া ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীতের আমেজ।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে এবং একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।