বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে জিতে নেয় টাইগাররা

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে জিতে নেয় টাইগাররা
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে যৌথ নায়ক আফিফ ও মিরাজ সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই পথ হারাল বাংলাদেশ। বাঁহাতি পেসার ফজল হক ফারুকির বোলিং কাঁপিয়ে দিল টাইগারদের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে আফগানিস্তান। তৃতীয় ওভারে বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইকেটও হারিয়েছে তারা।৮ ওভার শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪০ রান। ক্রিজে আছেন ইব্রাহিম (১৬) ও রহমত (১০)।বুধবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের ২১৫ রানের জবাবে ৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ স্বাগতিকদের কক্ষপথে ফিরিয়ে অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দেন আফিফ ও মিরাজ।

২০১৮ সালে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সপ্তম উইকেট জুটিতে ১২৭ রান যোগ করেছিলেন ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সেই রেকর্ড এবার ভাঙা পড়েছে। আফিফ ও মিরাজ দুজনেই দুর্দান্ত ফিফটি হাঁকিয়ে খেলেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। আফিফ অপরাজিত থাকেন ১১৫ বলে ৯৩ রানে। তিনি মারেন ১১ চার ও ১ ছক্কা। মিরাজ করেন ১২০ বলে অপরাজিত ৮১ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ৯ চার।
দীর্ঘ দিন পর ওয়ানডে খেলতে নেমে দ্বিতীয় বলেই চার হজম করেন মোস্তাফিজুর রহমান। শুরুতে বল ওয়াইড দেওয়ারও প্রবণতা দেখা গেছে। মোস্তাফিজ তো একটি ওয়াইড দিয়েছেন। তাসকিন দিয়েছেন দুটি; তার শুরুটাই ছিল ওয়াইড দিয়ে। একই ওভারে রাহমানুল্লাহ গুরবাজের ক্যাচও উঠেছিল। কিন্তু সুযোগ কঠিন হওয়ায় তা হাতে জমাতে পারেননি আফিফ। পরের ওভারে অবশ্য বেশি আক্রমণাত্মক হতে দিয়ে তৃতীয় ওভারে মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হয়েছেন আফগান ওপেনার গুরবাজ। ডাউন দ্য উইকেটে এসে মিডউইকেটে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বল জমা পড়েছে তামিম ইকবালের হাতে। তাতে ১৪ বল খেলে ৭ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার। তাসকিনের ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি উইকেট পড়তে পারতো। শর্ট বলে পুল করেছিলেন নতুন নামা ইব্রাহিম জাদরান। কিন্তু ডিপ স্কয়ার লেগে তার ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ! সময়ের হিসেবে দীর্ঘ সাত মাস পর বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলতে নামছে। সর্বশেষ গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে থেকে জিতে আসার পর শুধু টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতেই মেতে ছিল তামিমের দল। অবশ্য এই সময় পুরো শক্তির দল এক সঙ্গে ছিল না। সাকিব-মুশফিকের ফেরায় স্বাভাবিকভাবেই মিডল অর্ডারে শক্তি বেড়েছে। বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান