অস্হির চট্টগ্রামের  পেঁয়াজের বাজার» দাম কমাতে দ্রুত প্রদক্ষেপ

  সায়মন সাহদাত / এস,আহমেদ ডেক্স প্রতিবেদনঃ» ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী বন্ধের খবরে হঠাৎ বৃহত্তম পাইকারী বাজর খাতুনগঞ্জ সহ খুচরা বাজারগুলো।গত কদিন পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে কিছু খুচরা বাজার ব্যবসায়ীরা বিক্রি বন্ধ করে মজুদ করা শুরু করেছে।তাই দ্রুত প্রদক্ষেপে আবার চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে ১৯ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একদিনেই ব্যবসায়ীরা ১০ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্রের (আইপি) জন্য আবেদন করেন। ব্যবসায়ীরা ভারতের বিকল্প হিসেবে অন্য ৫ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।তারা জানান ভারত নির্ভর হয়ে পড়ায় এমন পরিস্হিতিতে পড়তে হচ্ছে বারবর। এ জন্য চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা ভারতের বিকল্প হিসেবে পাকিস্তান, চীন, মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবেন। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৪টি অনুমতিপত্র বা আইপির মাধ্যমে ১৯ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছে।অন্তত ২৫ জন ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির আবেদন করেছেন বলে সূত্র জানায়।জানা গেছে, (১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার)
 সকাল থেকে স্থল বন্দর বেনাপোল ও হিলি দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আসা বন্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্রেতাদের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হলে অনেকেই বিভিন্ন দোকানে ছুটে যায় পেয়াজ কেনার জন্য।

ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকে দেশের বাজারে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে যায়। তবে দুইদিন আগে খাতুনগঞ্জে যেসব পেঁয়াজ পাইকারিতে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এখন সেসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।আজ বুধবার সকালে ঘুরে দেখা যায়,খাতুনগঞ্জে লোকজন তেমন নেই  বিক্রি ও নেই তেমন বললেই চলে জানান পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ীরা তারা জানান  দাম বাড়ার  আজ   ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী  বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খাতুনগঞ্জের বাজারে। এখন পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।’ চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার, আতুরার ডিপো হাশেম বাজার, বহদ্দরাহাট, রিয়াজ উদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সংকট হবে মনে করে ক্রেতাদের অনেকে ৫-১০ কেজি করে কিনছেন। বেশি করে কিনে রাখার প্রবণতার কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এ সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন আমদানিকারক, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা।

খাতুনগঞ্জের সওদাগর জানান, কয়েক দিনে স্থলবন্দরগুলো দিয়ে পেঁয়াজ এসেছে।

এসব পেঁয়াজ আমদানিকারকরা মজুদ করেছেন। এছাড়া আগের এলসি করা আরও কিছু পেঁয়াজ ট্রাকে বোঝাই হয়ে ওপারে আটকে রয়েছে। এগুলোও হয়তো আসবে।

তাই স্থলবন্দরকেন্দ্রিক আমদানিকারকরা যেন পেঁয়াজ মজুদ করে রাখতে না পারেন, সেজন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে।