অমর একুশের বইমেলায় লেখক সমাবেশে কবি আসাদ মান্নান

অমর একুশের বইমেলায় লেখক সমাবেশে কবি আসাদ মান্নান
আজ চট্টগ্রামের বইমেলায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম চত্ত্বরে শুক্রবার বিকালে বইমেলা মঞ্চে কবি লেখকদের সমাবেশে কবি সাংবাদিক, লেখক রাশেদ রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বই মেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বই মেলায় লেখক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী।প্রধান আলোচক ছিলেন এবার কবিতায় বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি আসাদ মান্নান ও আলোচক কবি, সাংবাদিক, লেখক ও টিভি ব্যক্তিত্ব কামরুল হাসান বাদল, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি শুকলাল দাশ সহ কবি লেখকরা অংশ নেন
চট্টগ্রামে চসিক আয়োজিত অমর একুশের বইমেলায় শুক্রবার বিকেলে লেখক সমাবেশে কবি আসাদ মান্নান বলেন আমাদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তা বা জাতি গঠনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উপাদানটি হলো রাষ্ট্র ভাষা-আন্দোলন। বাংলাদেশ নামে একটি স্বতন্ত্র, স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্মের সাথে বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ওতপ্রতোভাবে জড়িত। লেখক, কবি সাহিত্যিকদের আকাশের মতো উদার ও সমুদ্রের মতো গভীর এবং মানবিক হতে হবে। দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ, জনগণের মালিকানা সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠা করতে হলে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হাতিয়ার গোলাবারুদের চেয়ে লেখকদের কলম বেশি ধারালো, তাই প্রত্যেক কবি সাহিত্যিককে সেই ধারালো কলমের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। পুরস্কার কাউকে লেখক বানায় না, লেখক তৈরি করে মূলত পাঠক। ওই যে আমার বন্ধুরা কবি বলতে বলতে আমাকে এতটুকু নিয়ে এসেছে; জাস্ট এই ডাকটাকেই বাংলা একাডেমি স্বীকৃতি দিয়েছে। তারাও এটা দিতে হয় বলে দেয়, এজন্যে ভালই লাগছে। বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি আসাদ মান্নান
১৯৭৭-৭৮ সালের দিকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ তরুণ কবি হিসেবে পর পর দুইবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। বাংলাদেশ পরিষদ সাহিত্য পুরস্কার। কোন পুরস্কার কাউকে লেখক বানায় না। লেখক তৈরি করে মূলত পাঠক। ঐ যে আমার বুন্ধরা কবি বলতে বলতে আমাকে এতটুকু নিয়ে আসছে জাস্ট এই ডাকটাকেই বাংলা একাডেমি স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা এটা দিতে হয় বলে দে, এজন্যে ভালো লাগছে।ঢাকার মেলা থেকে কেমন জানি আমার চট্টগ্রামের মেলাকে অনেক বেশি সুসংহত মনে হচ্ছে। এখানে সবাই বই কিনছে, ঢাকার মেলায় ঘুরছে । আমার বিশ্বাস আছে যেহেতু চট্টগ্রাম একটি অগ্রসর অঞ্চল। চিন্তা-চেতনায়, রাজনীতিতে বলেন, অর্থনীতিতে বলেন আমরা এগিয়ে থাকা অঞ্চলের মানুষ। কাজেই একদিন দেখা যাবে এই বইমেলা দেশের গ-ি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বইমেলা হিসেবে সবার দৃষ্টি কাড়বে। এখানেও জাতীয় মানের অনেক প্রকাশনা শিল্প গড়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম এগিয়ে থাকবে এবং এগিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করবো চট্টগ্রামের মেয়র জননন্দিত ও জনহিতকর এই বইমেলা প্রতিবছর আয়োজন করে যাবেন। যাকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চল আলো ছড়াবে।
আজ সকাল১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।আজও বইমেলা লেখক পাঠকের মিলনমেলায় পরিণত হয়।একুশে বইমেলায় বেড়েছে ক্রেতা-দর্শণার্থী সমাগম। বসন্তের বিকেলে বইপ্রেমিকরা আশেপাশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন বইমেলায়। কেউ এসেছেন নিজের পছন্দের বই কিনতে কেউ বা আড্ডা দিতে। প্রিয়জন বা পরিবার নিয়ে উপভোগ্য এক বিকেল কাটাতেও অনেকে মেলায় এসেছিলেন।বইমেলার উদ্যান অংশে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব বয়স ও শ্রেণির মানুষের সমাবেশ ঘটেছে। স্টলের সামনে ভিড় করতে দেখা গেল তরুণ-তরুণীদেরকে। মানুষের উপস্থিতি ও বই বিক্রিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বেশ কিছু স্টল মালিক সামনের দিনগুলোতে মেলা জমে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন।মেলায় প্রতিদিনই থাকে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি, কবি-সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আনাগোনা থাকে নিয়মিত।