জিয়া স্মৃতি জাদুঘর বন্ধ ও কিউরেটর অপসারণ দা‌বি‌তে স্মারক‌লি‌পি

‘জিয়া জাদুঘর’ বন্ধ ও কিউ‌রেটরকে ওএস‌ডি করার দা‌বি‌তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক‌লি‌পি দি‌য়ে‌ছেন চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা। অবিলম্বে এ দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, অন্যথায় চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-যুব সংগঠন, প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলবে। এ দাবিতে সোমবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেন বিভিন্ন সংগঠ‌নের নেতারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কবি ও সাংবাদিক শুকলাল দাশ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী, সাংবাদিক কমল দাশ, শিশু সাহিত্যিক আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, মুজাহিদুল ইসলাম, মানবাধিকার নেতা আমিনুল হক বাবু প্রমুখ।স্মারকলিপিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে মদতদাতা সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান তাই চট্টগ্রামের মানুষ তার নামে সরকারি অর্থে কোনো জাদুঘর পরিচালনা রাষ্ট্রের আদর্শ পরিপন্থি বলে মনে করে। এতে আরো বলা করা হয়, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে জাদুঘরটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন- গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালকের কাছে ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘর, চট্টগ্রাম’-এর উপকিপার মো. ইলিয়াস খান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে, ১৯ জানুয়ারি জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের সেমিনার হলে জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তারা বলেন, মো. ইলিয়াস খান বিএনপির আমলের একজন মন্ত্রীর ভগ্নিপতি। এই জাদুঘরে বসেই তিনি খুনি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ মহামান্য হাইকেকোর্টের এক রায়ে জিয়াউর রহমানকে ‘একজন আর্মি রুলস ভঙ্গকারী অবৈধ দখলদার রাষ্ট্রপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে জিয়ার নামে জনগণের করের টাকায় জাদুঘর থাকার প্রশ্নই আসে না।