তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘৭ই মার্চের ভাষণে জাতির পিতা কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন কিন্তু, তা এমনভাবে করেছেন যে, পাকিস্তানি শাসকদের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। এ ভাষণ শুধু বাঙালিকেই মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেনি, যুগে যুগে বিশ্বের সব নিপীড়িত মানুষের মুক্তির প্রেরণা হয়ে উঠেছে।’
সোমবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের পরম গর্বের এবং একইসঙ্গে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরজাগরুক রাখার অবিস্মরণীয় দলিল।’ যারা ৭ই মার্চের ভাষণ ধারণ করেছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ড. হাছান মাহমুদ।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান উল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ক্যামেরায় ধারণকারী একুশে পদকে ভূষিত আমজাদ আলী খন্দকারসহ তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা।