মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৩ দিন ব্যাপী পটিয়া উৎসবের উদ্বোধন

মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৩ দিন ব্যাপী পটিয়া উৎসবের উদ্বোধন
পটিয়া উৎসব। আমার পটিয়া উৎসব। । মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আজ ২২মার্চ সকালে ৩ দিন ব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করলেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। পটিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, আমাদের জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ জনাব সামশুল হক চৌধুরীর মহান এই উদ্যোগে আমরা সবাই ছিলাম। এ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মারক সংকলন ‘গৌরবগাথা’র সম্পাদনার দায়িত্ব ছিল আমার। আমার সতীর্থদের সহযোগিতায় অনন্য একটা সংকলন উপহার দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। পটিয়ার সঙ্গে আমার আবেগ জড়িয়ে আছে। ‘পটিয়া উৎসবের’ আয়োজন করে আমাদের আবেগকে স্পর্শ করেছেন হুইপ জনাব সামশুল হক চৌধুরী।
এ উৎসবের সবচেয়ে বড় দিক এলাকার কীর্তিমান ব্যক্তিত্বদের সম্মাননা। ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এ পটিয়া চট্টগ্রামের একটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। শিক্ষা, রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকা— সব দিক থেকে এ অঞ্চল অগ্রগামী। এখানে জন্ম নিয়েছেন অনেক জ্ঞানী গুনী। সাহিত্য-সংস্কৃতি, বিপ্লব-সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও শিক্ষা-দীক্ষায় যাঁরা রেখেছেন অনন্যসাধারণ অবদান। যাঁদের কৃতি ও কীর্তি স্থানীয় গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় ও আন্তজার্তিক মণ্ডলে বিশেষভাবে সমাদৃত ও প্রতিষ্ঠিত।
এই পটিয়া উৎসবের মাধ্যমে আমাদের তাঁদের অবদানকে স্মরণ করতে চাই। তাই তাঁদের কয়েকজনকে এখানে সম্মাননা দিয়ে আমাদের গৌরবগাথাকে তুলে ধরতে চেয়েছি বিনম্র -চিত্তে। পটিয়া উৎসব উদযাপন পরিষদ মনে করে, পটিয়ার গুণীজনদের সম্মানিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাঁদের অবদানকে স্মরণীয় করে লক্ষ্যে এই আয়োজন। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই পটিয়া উৎসবে ৪৩ জন গুণীকে আমরা সম্মাননা জানাতে পেরে নিজেরাই ধন্য হচ্ছি।
এই ৪৩ গুণী নির্বাচনের বিষয়ে ‘পটিয়া উৎসব উদযাপন পরিষদ’ নেতৃবৃন্দ বেশ কয়েকবার সভায় মিলিত হয়েছেন। তাঁদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তৈরিকৃত তালিকাকে আমরা অনুসরণ করেছি। এই ৪৩ জনের বাইরেও অনেক গুণী আছেন, যাঁদের এই তালিকায় যুক্ত করতে পারলে আমাদের নিজেদের ভালো লাগতো। তবে এটুকু বলা যায়, এই উৎসব তো সূচনা মাত্র। আগামীতে পর্যায়ক্রমে তাঁদের সম্মাননা জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব সামশুল হক চৌধুরী এমপি। যিনি পটিয়ার জনমানুষের সুখ-দুঃখের সাথি; প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী চিন্তা চেতনার প্রতিফলন ঘটে যাঁর ভেতরে। আমরা এগিয়ে যেতে চাই সামনে, অন্ধকারের পরিমণ্ডল ছেড়ে উজ্জ্বল আলোতে। আমাদের চলার পথে আমরা সবাইকে রাখতে চাই সশ্রদ্ধ-চিত্তে। জয় বাংলা।