স্বর্ণালী প্রিয়া / জুয়েল আর কে ডেক্স প্রতিবেদনঃ মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পূজো দিয়ে শুরু হল মায়ের আগমনী এ উপলক্ষ্যে জুয়েল আর কে চক্রবর্তীর পরিচালনায় আলোর বেনু বিশেষ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করার জন্য শুভকামনা সকলকে। » বাংলাদেশে শরৎকাল। শরৎকালে যখন সাদা কাশফুল আর আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ায়, জানান দেয় দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা।আজ শুভ মহালয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন,আর কিছুদিন বাকি । আজ মহালয়া, দেবীপক্ষের শুরু। চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দূর্গার আবাহন। তর্পন নিবেদন, মঙ্গলঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজার মধ্য দিয়ে মহালয়ার আনুষ্ঠানিকতা সারাদেশে। পঞ্জিকা মতে আশ্বিন মূল মাস হওয়ায় এবার মহালয়া থেকে দেবী বোধনের মধ্যে এক মাসের ব্যবধান। ২২ অক্টোবর দেবী বোধন। করোনার কারণে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজাও সীমিত পরিসরে উদযাপনের কথা জানান আয়োজকরা।শারদীয় দুর্গোৎসবের পূণ্যলগ্ন মহালয়ায় চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দূর্গার আবাহন। চন্ডীতেই আছে দেবী দূর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। ভোর থেকেই সারাদেশে মহালয়ার আচার অনুষ্ঠান। শাস্ত্রবিধি মেনে মঙ্গলঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজার মাধ্যমে শুরু হয় মহালয়ার আনুষ্ঠানিকতা।দেবীপক্ষে ভক্তরা তাদের পূর্বপ্রজন্মের আত্মার তুষ্টির জন্য অন্ন ও জল নিবেদন করেন, শাস্ত্রে একে বলা হয় তর্পণ। মায়ের এবারের আগমনে ফলে মহামারী করোনা মা চলে যাওয়ার সময়ে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। মায়ের আগমনের সাথে সাথে পৃথিবীটা সুস্থ হয়, আমরা সুস্থ পৃথিবীতে ভাল করে মায়ের আরাধনা করতে পারি। মায়ের কাছে সবসময় প্রার্থনা থাকে যেন সবার ভাল হয়। যে যেমন চায় সে তেমন যেন পায়। এবার আশ্বিন মাস মল মাস বা মলিন মাস হওয়ার কারণে প্রায় এক মাস পর হবে শারদীয় দূর্গাপূজা। করোনার কারণে মহালয়ার আয়োজনে ভিন্নতা রয়েছে জানায় সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি।মায়ের কাছে আমাদের আর্শীবাদ থাকবে করোনা থেকে যেন আমরা মুক্তি পাই এবং বিশ্ববাসী ও মানব সমাজ যেন এই করোনা থেকে মুক্তি পায়- এটাই আমাদের কাম্য।বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে ভক্তিমূলক গান ও নাচের মধ্য দিয়ে দেবী বন্দনা করা হয়।