পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে, ক্রেতা কম।

 ভারতের রফতানি বন্ধ করার সংবাদে অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের প্রায় সব বাজার হঠাৎ দাম বেড়ে যায় নিত্যপণ্যটির। এতে বিপাকে পড়ে স্বল্প আয়ের মানুষ। গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতায় আশঙ্কিত হয়ে অনেকে বেশি করে কিনতে থাকে পেঁয়াজ। এই অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। বাজার স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। কঠোর অভিযান এবং ভারতে আটকে পড়া পেঁয়াজের ট্রাক আসার খবরে কমতে শুরু করেছে দাম। তবে পাইকারিতে দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে বাজারে এখনো প্রভাব পড়েনি, পেঁয়াজের বাজার তবে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম আজ কিছুটা কমেছে, তবে দেশজুড়ে বাজারে ক্রেতা কম।

রাজধানীতে পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে। শ্যামবাজার, কারওয়ানবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা এবং সংশ্লিষ্ট খবরে এসব তথ্য জানা গেছে। শ্যামবাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা কমেছে। দেশি এবং দেশি হাইব্রিড পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে,চটগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। খুচরা বাজার গুলোতেও দেখা গেছে একই চিত্র। বিক্রেতারা বলেন, বাজারে ক্রেতা কিছুটা কম।  এছাড়া যশোরেও পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল। পাইকারিতে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে।টিসিবির সূত্র জানায়, রোববার থেকে নগরীর ময়লাপোতা মোড়, ডিসি অফিস সংলগ্ন রোড, শিববাড়ী মোড়, বয়রা বাজার মোড়, দৌলতপুর নতুন রাস্তার মোড়ে ডিলাররা ট্রাকের মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি করছেন। সাধারণ মানুষ ভোর থেকে অপেক্ষা করছেন লাইনে দাঁড়িয়ে। সকাল ৯টা থেকে বিক্রি শুরু হচ্ছে। এসব পয়েন্টে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা। এছাড়া ৫০ টাকা দরে চিনি ও মশুর ডাল এবং ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে ভোজ্যতেল। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ কেজি করে এসব পণ্য কিনতে পারছেন।