রুহিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাতের বিরুদ্ধে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় ভন্ড তান্ত্রিকের প্রতারণার কোবলে পরে এক গৃহবধূকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রভাতের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। প্রভাত রায় ঠাকুরগাঁও সদরের রাজাগাঁও ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের মৃত খকেন্দ্রনার্থ বর্মনের ছেলে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র চিকিৎসার জন‌্য আমাকে তার বাড়িতে থাকতে বলেন। আমার বাবা একদিন তার বাড়িতে থাকার জন্য নিয়ে আসলে সেই রাতে ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র ও তার স্ত্রীর সহায়তায় আমাকে জোরপূর্বক রাতভর ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি আমি কাউকে জানালে আমার বড় সমস্যা হবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ পিতা আনিসুর রহমান জানান, আমার মেয়ে এক সন্তানের জননী কিছুদিন পূর্বে সে শারিরীক অসুস্থ থাকায় ডাক্তার ও কবিরাজের চিকিৎসায় সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ না হওয়ার লোকমুখে শুনে আসাননগর নামক গ্রামে প্রভাত মাহাত নামে একজনের চিকিৎসায় গ্রহণ করি । পরে ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত আমার বাসায় গিয়ে ঝাড়ফুঁক করে এবং আমার কাছে ২০,০০০/= (বিশ হাজার) টাকা দাবি করে। কয়েক কিস্তিতে ১৭ হাজার টাকা দিয়েছি তারপর ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র আমাকে বলে আপনার মেয়েকে আমার বাড়িতে দুই দিন থাকতে হবে কারণ আমি রাতে পূজা পানি করি এজন্যই রাতে আমার বাড়িতে থাকতে হবে। প্রভাতের সেই কথা শুনে আমি রাজি হয়ে গত ১৭ জুন আনুমানিক বিকাল ৪ টায় সময় রেখে যাই। পরে ১৯ জুন আমার মেয়ে আমাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। তিনি আরও বলেন, ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র আমার মেয়েকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে যদি কাউকে বলি তাহলে নাকি মেয়েকে বান মারবে আর কোন দিন কথা বলতে পারবে না। গত বুধবার দুপুরে ভন্ড তান্ত্রিকের বাড়িতে আসলে স্থানীয় লোকজন বলেন প্রভাত চন্দ্র আসলেই কোন কবিরাজ নয়।

রাজাগাঁও ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, স্থানীয় লোকজন আমাকে ফোন করে জানায় যে, এলাকার প্রভাত চন্দ্র ভন্ড তান্ত্রিক হিসেবে একজন মহিলাকে রাতভর ধর্ষণ করেছে। সেই মহিলার পিতা বিচারের জন্য প্রভাত চন্দ্রের বাড়িতে আসলে অভিযুক্ত প্রভাত চন্দ্র পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমি আমার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে রুহিয়া থানায় যাওয়ার জন্য বলেন।

এ বিষয়ে ১৪নং রাজাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম সরকার বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ লোকজন ঐ মহিলা তার বাবাকে নিয়ে পরিষদে আসলে আমি তাদেরকে রুহিয়া থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শহিদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী মহিলার পিতা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে প্রভাতকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। যার মামলা নং