কোরবানি মুসলমানদের ত্যাগের শিক্ষা দেয়। হজরত ইবরাহিমকে (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহতায়ালা তাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিলেন।
নিজ পুত্র হজরত ইসমাইলকে (আ.) রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সে পরীক্ষায় পাস করেন।
সৃষ্টি করেন আল্লাহর পথে সর্বোচ্চ ত্যাগ করার এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ। কিন্তু আল্লাহতায়ালা হজরত ইসমাইলের পরিবর্তে হজরত ইবরাহিমকে দিয়ে পুত্রের পরিবর্তে প্রিয় বস্তুর প্রতীক হিসেবে পশু কোরবানি করান। তখন থেকে মুসলমানরা এ ঘটনাকে স্মরণ করে ঈদুল আজহার দিন পশু কোরবানি করে থাকেন।
কোরবানির উদ্দেশ্য হল ত্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু মনে করে প্রতীকী অর্থে পশু কোরবানি করা। এ ধর্মীয় উৎসব তাই ত্যাগের মহিমা বিজড়িত।
আল্লাহর জন্য, তার সৃষ্টির জন্য, মানবতার জন্য ত্যাগেও যে আনন্দ আছে, তা ব্যতিক্রমী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ উৎসবে প্রতিফলিত হয়।