বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা কোরবানির মাংস বিক্রির জন্য নগরীর মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে ক্ষণস্থায়ী বাজার। ইদের দিন দুপুর থেকে এ সব বাজারে মাংস বিক্রি করছেন প্রান্তিক মানুষ। তা কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন সীমিত সাধ্যের ভোক্তারা। নগরীর এ সব বাজারে রকমভেদে মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত।সোমবার (১১ জুলাই) সরেজমিনে পাথরঘাটা রেলস্টেশন বদ্দারহাট মাদারবাড়ি আগ্রাবাদ চকবাজার বাকলিয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় এ বাজার দেখা যায়।মাংসের হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়— সাধারণ মানুষ কম দামে এ সব স্থান থেকে মাংস কেনেন। বিশেষ করে যেসব স্বল্প আয়ের লোকজন সামর্থ্যের অভাবে কোরবানি দিতে পারেননি। মূলত তারাই অস্থায়ী বাজার থেকে কোরবানির মাংস ক্রয় করে থাকেন।
কোরবানির মাংসের একটি নির্দিষ্ট অংশ পেয়ে থাকেন সমাজের দুস্থ-অসহায় মানুষেরা। সেই মাংস থেকে কেউবা প্রয়োজনমতো রেখে দিচ্ছেন খাবারের জন্য, বাড়তি যে মাংস তা কেউ কেউ বিক্রি করে দিচ্ছেন আর্থিক জোগানের আশায়। কোরবানির দিনে কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে পাওয়া এ সব মাংস নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বসে মাংসের হাট।ঈদের দিন দুপুর থেকে এসব হাটে বেচাকেনা শুরু হয়ে চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। প্রধানত নিম্নবিত্ত শ্রেণির লোকজন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির মাংস সংগ্রহ করে এসব হাটে বিক্রি করেন। যাদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই তারাই মূলত এ সব মাংসের ক্রেতা।পাথরঘাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার ফুটপাতে দেখা গেছে— মাংস কেনাবেচার বিরাট জটলা। দেখা যায় বিভিন্ন লোকজন ভ্যান গাড়িতে করে ও পলিথিন বিছিয়ে মাংস বিক্রি করছেন। এ সব মাংস তারা আশেপাশের বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে কিংবা কসাইগিরির মাধ্যমে পেয়েছেন। মাংসগুলো বিক্রি করার জন্য তারা ফুটপাতে বসেছেন।