ইচ্ছে ডানা মেলে কর্ণফুলীর সৌন্দয্যে

পথ প্রান্তরের সংবাদ সরজমিন ঘুরেই
লুসাইকণ্যা কর্ণফুলী নদীর তীরে পরতে পরতে রয়েছে প্রকৃতির অপার মনোহর সৌন্দয্য প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে ভরপুর সাগর পাহাড় আর নদীর তীরে অপরুপ সুন্দর এক নগরী চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম কেমন একবাক্যে যদি বলতে গেলে এভাবে হয়তো বলা যাবে। এখানে প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে তার প্রিয়তমাকে।প্রাচীন বনিকদের মতো বর্তমানেও বিশ্বের ব্যবসা-বানিজ্যের এক প্রিয় স্থান চট্টগ্রাম। প্রকৃতির অপরুপ রুপের মাঝেই প্রাচীনকাল থেকে সৃষ্ট চট্টগ্রাম বন্দর এ অঞ্চলের গুরুত্বকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন।
প্রাগৈতিহাসিক কালে জীন-পরীদের রাজ্য হিসেবে চিহ্ণিত এই জনপদে আলো জ্বালিয়েছিলেন এক আলোর দিশারী। তারপর সে আলো ছড়িয়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে। স্থলে, জলে, সাগরে মহাসাগরে। চেরাগী পাহাড়, পরীর পাহাড় কিংবা জিলাপীর পাহাড়ের স্মৃতি চিহ্ণ আজো টিকে আছে সগৌরবে। এ রকম কতো ইতিহাস আলোর এই শহরকে ঘিরে। ইতিহাসের পাতায় পাতায় চট্টগ্রামকে খুজে পাওয়া যায়, নানান রুপ, রং আর বর্ন বৈচিত্রে। এখানে জন্ম নিয়েছেন অনেক নজন্মা প্রতিভা, যাদের আলোয় আলোকিত শুধু দেশ নয়, সে আলো ছড়িয়েছে বিশ্বময়।পর্তুগিজ, ফরাসী কিংবা আরব বনিকদের মতো পৃথিবীর অনেক দেশের বনিকদেরই পছন্দের জায়গা ছিল এই চট্টগ্রাম। বিদেশী বনিকদের আগমনের সেই সাী আজো আছে এখানকার ফিরিঙ্গিবাজার কিংবা আনোয়ারার খোট্টাপাড়ায়।
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সুর্যসারথি মাষ্টারদা সুর্যসেন, প্রীতিলতার মতো ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন বিপ্লবী বিনোদ বিহারী। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুবকদের সংগঠিত করতে যে বলী খেলার প্রচলন করেছিলেন আবদুল জব্বার সওদাগর, কালের পরিক্রমায় সেই জব্বারের বলি খেলা আর বৈশাখী মেলা আজো টিকে আছে শতবর্ষ পরেও।
ভাষা আন্দোলনের পাশাপাশি এদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষনাও এসেছে এই চট্টগ্রাম থেকে। যে ঘোষনা ইথারে ছড়িয়েছে স্বাধীনতার স্বপ্ন জয়ের নতুন আলোর মশাল।
যখন বিশ্বের বনিকরা সাগরে কিভাবে যাতায়াত করবেন কিংবা সাগরে কিভাবে নিরাপদে চলাচল করবেন ভাবছিলেন তখন এই চট্টগ্রামের দ কারিগরেরাই তৈরি করেন কাঠের নৌকা আর যুদ্ধ জাহাজ। সমুদ্র যাত্রায় ব্যবহৃত সেই জাহাজ আজোও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাদুঘরে স্থান আলো করে আছে। রক্তে মিশে থাকা সেই জাহাজ নির্মান শিল্পে নতুন সম্ভাবনার পাশাপাশি শিপ ব্রেকিং শিল্পেও এখন চট্টগ্রাম অতুলনীয়। আছে সাগর বিদ্যা নিয়ে অধ্যয়নের প্রিয় স্থান মেরিন একাডেমিও।