বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে দুরন্ত ছন্দে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা

টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো টাইগাররা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টাইগাররা জিতেছে ১৬ রানে।। দুরন্ত ছন্দে থাকা বাংলাদেশ সিরিজের শেষ ম্যাচেও করেছে উড়ন্ত সূচনা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদারের জুটিতে পঞ্চাশ ছাড়ায় স্বাগতিকদের । লিটন দাসের হাফসেঞ্চুরি ও নাজমুল শান্তর অপরাজিত ইনিংসে ১৫৮ রান করে সাকিব বাহিনী। জবাবে ৬ উইকেটে ১৪২ রানেই থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস। ওয়ানডে সিরিজে হারতে হয়েছে ২-১ ব্যবধানে। সেই হারের মধুর প্রতিশোধ বাংলাদেশ নিয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। এই সংস্করণে প্রথমবার সিরিজ খেলতে নেমেই ইংল্যান্ডকে বাংলাওয়াশ করল টাইগাররা (৩-০)। মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংলিশদের ১৬ রানে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ছয় উইকেটে ১৪২ রান তুলতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। জিম্বাবুয়ের পর এই প্রথম আইসিসি পূর্ণ সদস্য কোনো দলকে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধবলধোলাইয়ের নজির গড়ল বাংলাদেশ।

সাকিব ও শান্তর জুটিটি তেমন কিছু করতে পারেনি। ১৮ বলে তারা যোগ করেন ১৯ রান। ৩৬ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন শান্ত। সাকিব ছিলেন ৪ রানে। বাংলাদেশ দল ২ উইকেটে পুঁজি পায় ১৫৮ রানের।

শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না ইংলিশদের। সল্টকে শূন্য রানে ফিরিয়ে অভিষেক ম্যাচের প্রথম ওভারে উইকেট পেলেন তানভীর ইসলাম।

ম্যাচে ফিরতে ওপেনার ডেভিড মালানের সঙ্গে জুটি গড়েন দলপতি জস বাটলার। ৭৬ বলে ৯৫ রান করে দলকে নিয়ে যায় স্বস্তির অবস্থানে। আর দলীয় ১০০ রানের সময় হাফসেঞ্চুরি করা ডেভিড মালানকে মুস্তাফিজ আউট করলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে বাংলাদেশ।

পরের বলেই ৪০ রান করা জস বাটলারও ফিরেন রানআউট হয়ে। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ১০০ উইকেটের মালিক হন ফিজ।

বেন ডাকেটকে বোল্ড করেন তাসকিন। এর ফলে ২ উইকেটে ১০০ থেকে ১২৩ এ পৌঁছাতে আরও তিন উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য ৩১ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই স্যাম কারানকে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর লেগের সারির ব্যাটাররা চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি।

শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের ইনিংস থামে ১৪২ রানে।

ফলে ইংলিশদের ১৬ রানে হারিয়ে বাংলাওয়াশের স্বাদ দিল টাইগাররা। যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথমবার এমন কীর্তি গড়ল বাংলাদেশ।মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংলিশদের ১৬ রানে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ছয় উইকেটে ১৪২ রান তুলতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। জিম্বাবুয়ের পর এই প্রথম আইসিসি পূর্ণ সদস্য কোনো দলকে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধবলধোলাইয়ের নজির গড়ল বাংলাদেশ।

রান তাড়ায় ইংল্যান্ড অবশ্য সহজ জয়ের পথেই ছিল। পাঁচ রানে এক উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ইংলিশদের পথ দেখান ডেউইড মালান ও অধিনায়ক জস বাটলার। এই দুজনের ৯৫ রানের জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। মালানকে কিপার লিটন দাসের গ্লাভসে পরিণত করেন কাটার মাস্টার। পরের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত থ্রোতে রানআউট বাটলার। উইকেটে জমে যাওয়া দুই ব্যাটার সাজঘরে ফিরতেই কমে আসে ইংল্যান্ডের রানের গতি। সফরকারীদের চেপে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। সেই চাপ আর সামলাতে পারেনি ইংলিশরা। ৪৭ বলে মালান ৫৩ এবং ৩১ বলে ৪০ রানে বিদায় নেন বাটলার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৫৮/২

ইংল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৪২/৬

ফল : বাংলাদেশ ১৬ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা : লিটন দাস

সিরিজ সেরা : নাজমুল হোসেন শান্ত