নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ

বুধবার (১৯ এপ্রিল) ঈদকে সামনে রেখে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। কর্মব্যস্ত নগরী, ক্লান্তিকর জীবন থেকে কিছু দিনের জন্য সঙ্গে সময় কাটাতে চিরচেনা নিজ নিজ বাড়িতে ছুটে চলেছেন নগরবাসীরা। বাসস্ট্যান্ড,রেল স্টেশন, লঞ্চঘাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বাস কাউন্টারগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভিড়।ঈদ-উল-ফিতরের যাত্রাকে নিরাপদ করতে নজরদারি ও টহল বাড়িয়েছে পুলিশ। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে তাদের। অনেকেই ঈদের অগ্রিম টিকিটের বাড়তি ঝামেলায় এড়াতে আগেভাগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ঈদের বেশ কিছু দিন আগে ফিরলেও যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। যাত্রীদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশনা ও বাস মালিকদের ঘোষণা অনুযায়ী যে জায়গায় ১০০ টাকা ভাড়া সেখানে ২৫০-৩০০টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে তাদের। লঞ্চের ভাড়াও ঈদের উপলক্ষে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সামান্য কিছু মালপত্র এক কোনে রাখতে গেলেও গুনতে হচ্ছে আলাদা টাকা। কিন্তু তবুও ঈদের ভাড়া হিসেবে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে পরিবহনগুলো।

দূরপাল্লার বেশিরভাগ বাসেরই অগ্রিম টিকিট বিক্রি হওয়ায় যাত্রীদের অপেক্ষা এখন শুধু বাড়ি ফেরার নির্ধারিত বাসে চড়ার। পুরোদমে বাসে ঈদযাত্রা শুরুর প্রথম দিনে প্রায় সব গাড়িকেই সঠিক সময়ে নির্ধারিত স্টপেজ ছেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত চলাচল করা লোকাল বাসেও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

এদিন সড়কেও যানহবাহনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়াম মত। মূলত ঈদযাত্রায় সাধারণ মানুষের চাপ সামাল দিতে যানবাহন বাড়িয়েছে বিভিন্ন পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

রাস্তাগুলোতে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা । তবে কোনোভাবে যানজট সমস্যা উতরানো গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ছিনতাই, পকেটমারের মত নানারকম সমস্যাগুলো থেকেই যাচ্ছে। তাছাড়া আসন সংকট তো আছেই। জায়গা না পেয়ে অনেকে গন্তব্য স্থলে পৌঁছাবার জন্য বেছে নিচ্ছে কখনও বাসের,লঞ্চের এবং ট্রেনের ছাদ। তবু ও সাধারণ মানুষগুলো হাজার ভোগান্তির মধ্যে দিয়েও বাড়ি ফিরছে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করতে ।