ব্রেকিং নিউজ » খাতুনগঞ্জে আমদানি করা পেঁয়াজ আসছে বিভিন্ন দেশ থেকে

 
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর)সরজমিন ঘুরে দেখা খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজর দরপতন শুরু।উল্লেখ্য যে হঠাৎ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিকল্প দেশ থেকে এরই মধ্যে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়। পেয়াজের সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজের প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে।এরই মধ্যে সংকট মোকাবিলায় পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। পাকিস্তান থেকে ১১৬ মেট্রিক টন ও মিয়ানমার থেকে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ৫৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করেছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র।
গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২টি দেশ থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র। আইপিও (অনুমতি পত্র) ইস্যু হয়েছে ৩২২টি।চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজের সংকট মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কাস্টম হাউসের অভ্যন্তরীণ ‘গ্রুপ-১’শাখায় পেঁয়াজের চালান খালাসের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
 
ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। পেঁয়াজ সংকট শুরুর পর ভারতের বিকল্প দেশের মধ্যে সাগর পথে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে প্রথম ঢুকেছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ। সোমবার রাতে দুই কনটেইনার পেঁয়াজ ঢুকেছে বিভিন্ন আড়তে। এ পেঁয়াজের আকার, রঙ ও স্বাদ দেশি পেঁয়াজের মতো হওয়ায় দামও ভালো পেয়েছেন আমদানিকারক। খাতুনগঞ্জের আড়তে প্রতি কেজি মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়।
 
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদসংগনিরোধ কেন্দ্র কর্মকর্তারা জানান, সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এসব চালান যাতে দ্রুতসময়ে ডেলিভারি দেওয়া যায় সে লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ শতভাগ প্রস্তুুত।