ঘূর্ণিঝড় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে অতিক্রম বাড়িঘর-গাছপালা লন্ডভন্ড,নিহত ২

রোববার (১৪ মে)ঘূর্ণিঝড় মোখা সমুদ্র পেরিয়ে কক্সবাজারের স্থলভাগে উঠে এসে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ওপর দিয়ে অতিক্রম করছে।বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর। সমুদ্রের পানি বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে তীব্র বাতাসে।ঘুর্ণিঝড়ে উপড়ে গেছে গাছপালা, বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। তবে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে মোখার বড় অংশ মিয়ানমারে রয়েছে।সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল ত্যাগ করবে মোখা। এদিকে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ১২০ থেকে ১৩০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।সেন্টমার্টিনে এখন বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৮০ কিমি মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনের বাড়িঘর গাছপালা ও দুর্বল স্থাপনার রিসোর্ট ভেঙে পড়েছে। প্রবল বাতাসে উড়ে গেছে ঘরের চালা। নষ্ট হয়েছে ঘরে রক্ষিত খাদ্য সামগ্রী। লন্ডভন্ড হয়েছে ঘরের আসবাবপত্র।ছোট-বড় অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে।বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তার ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ভেঙে গেছে রাস্তায় গাছ পড়ে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনে গাছচাপায় নারীসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।সংবাদদাতা জানান হঠাৎ পশ্চিম দিক থেকে শোঁ শোঁ শব্দ করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়া যায়। গাছপালা ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তবে ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব ধোঁয়াশা হয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত মিয়ানমারের চলছে। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে।