রাজধানীতে ঝুম বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমে অস্বস্তি বেড়েছে রাজধানীতেও। গতকাল গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও রাজধানী ছিল শুষ্ক।শুক্রবার (৯ জুন) সকাল ৯টা থেকেই ঢাকার আকাশে মেঘ জমতে থাকে। এরপর বেলা ১১টার দিকে ঝুম বৃষ্টি নামে। এতে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসীর মাঝে। আজও হঠাৎ আকাশ অন্ধকার হয়ে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ঝুম বৃষ্টি নেমেছে।বৃষ্টির কারণে প্রস্তুতি ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া লোকজনকে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। ভিজে ভিজে কাউকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে দেখা গেছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছু সড়কে কিছুটা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে, বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।