খুলনা এবং বরিশাল দুই সিটিতে সোমবার ভোট

প্রচার-প্রচারণা শেষ। ভোটের জন্য প্রস্তুত খুলনা এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন। প্রস্তুত দুই সিটির ভোটাররা। আর শেষ দিনের প্রচারণায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ঘরে ফিরেছেন গতকাল শনিবার রাত ১২টায়। সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই দুই সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খুলনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনে কড়া নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খুলনা থেকে বাবুল আকতার এবং বরিশাল থেকে এম কে রানার পাঠানো প্রতিবেদন।পথসভায় উৎসবের নগরী খুলনা : শেষ মুহূর্তে গণসংযোগ, পথসভার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় গতকাল শনিবার ব্যস্ত দিন পার করলেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা। গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সময় থাকায় প্রার্থী, সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্মীদের গণসংযোগ, পথসভা ও প্রচার প্রচারণায় মুখরিত ছিল গোটা শহর। ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে নির্বাচনের কাজ শুরু করেন প্রার্থীরা। ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিরামহীন পরিশ্রম করে ভোট ও দোয়া চান তারা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগে মাঠে ছিলেন নৌকা প্রতীকের তালুকদার আব্দুল খালেক, লাঙ্গল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মসফিকুর রহমান।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক গতকাল সকাল ৯টায় নগরীর খালিশপুর ১২ নং ওয়ার্ড ঊর্দু ভাষী ক্যাম্প থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। পরে তিনি ১৩ ও ১৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।
গণসংযোগকালে বিভিন্ন স্থানে দফা দফায় পথসভায় তিনি বলেন, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য ও মাদকমুক্ত নগরী গড়ে তুলব। কোনো মাদক বিক্রেতা বা সেবনকারী জনপ্রতিনিধি হতে পারে না। মাদকমুক্ত খুলনা গড়তে সবার সহযোগিতা ও নৌকায় ভোট চান তিনি। গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন শেখ মঞ্জুরুল আলম, মনিরুজ্জামান মনি, পারভীন আক্তার, আজিজুল হক স্বপন, ওয়াহেদুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার চৌধুরী মিরাজ, তাজুল ইসলাম, ৭নং ক্যাম্প সভাপতি সাকিল খান, ৩নং ক্যাম্প সভাপতি মো. আলী, ১নং ক্যাম্প সভাপতি শাহাবুদ্দিন আনসারী প্রমুখ।
এদিকে কেসিসি নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো অপপ্রচার বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলার আশ্রয় নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে খুলনা ১৪ দলীয় জোট। গতকাল দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করাসহ তিনটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। আমরা প্রমাণ করব শেখ হাসিনার অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।