পবিত্র ঈদুল আজহার দিন রাজধানীতে ভোর থেকে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি । এতে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ পড়তে যেতে ভোগান্তিতে পড়েন মুসল্লিরা। বৃষ্টিতে কোনো কোনো সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। কোরবানির পশুর রক্ত সেই পানিতে মিশে অনেকটাই লাল রং ধারণ করে। এর মধ্য দিয়েই চলাচল করতে হয় নগরবাসীকে। রাজধানীর গ্রিন রোড, ঝিগাতলা পল্টন তেজগাঁও, মগবাজার, শাহবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বনানী ও মহাখালী এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি দেখা গেছে।বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ভোর থেকে বৃষ্টিতে রাজধানীর কোথাও কোথাও
ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বৃষ্টির মধ্যেই নির্বিঘ্নে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃষ্টি উপেক্ষা করে নামাজ আদায়ের জন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মসজিদে ভিড় করেন মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদেও সূচি অনুযায়ী ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাভিত্তিক মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
তবে বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে পশু কোরবানিতে। বৃষ্টির কারণে খোলা জায়গায় কোরবানি দিতে না পারায় অনেকেই বাসা বাড়িতে নিচতলার খোলা জায়গায় পশু কোরবানি করছেন।
এদিকে রাজধানীতে আকাশ মেঘলা থাকলেও ঈদের দিন দুপুরের পর ফাঁকে ফাঁকে রোদ উঠতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।, ঢাকাসহ ও দেশের মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বেশি। বরিশাল ও চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্ব এলাকায় তা পরিমাণে কম আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের উত্তর–পূর্ব ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপ হিসেবে একই এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।