বেফাক’র সভাপতি পদে বাবুনগরীর লজ্জাকর হার।

 
অক্টোবর ৩ শনিবার বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে মোট ১২৫ ভোটের মধ্যে ৬৪ ভোট পেয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মাহমুদুল হাসান।আর আলোচিত
নানা ঘটনার হোতা হেফাজত ইসলামের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক জুনায়েদ বাবুনগরী একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে মাত্র তিন ভোট পেয়ে লজ্জাকর ভাবে হেরেছেন ।
 
যোহরের নামাজের পর রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় বেফাকের মজলিসে আমেলার বৈঠকে ১২৫ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি ও মহাসচিব নির্বাচিত হন।
 
এতোদিন যিনি হেফাজত ইসলামের আমির হতেন তিনিই বেফাক ও আল-হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান হতেন। এ তিন পদেই ছিলেন মরহুম শাহ আহমদ শফী৷ বাবু
নগরীর এই পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বে আসার যে গুঞ্জন বা স্বপ্ন তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে৷
 
আর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুরের মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক। তিনি পেয়েছেন ৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা মুসলেহউদ্দীন রাজু পেয়েছেন ৪০ ভোট।
 
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন দেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী সহ সভাপতি পদে মনোনীত হয়েছেন। যদিও তিনি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ৫০ ভোট পেয়েছিলেন।
 
এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন বেফাকের সহসভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস। সঙ্গে ছিলেন ঢালকানগর মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা জাফর আহমদ ও হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জের মাদ্রাসায়ে নূরে মদিনার মুহতামিম মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী।