মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষাসৈনিক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও সংসদ সদস্য জননেতা আবদুল্লাহ আল হারুনের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন। ’৬৪তে এনডিএফ পরবর্তী আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবনের পক্ষের অন্যতম নেতা হিসেবে অবদান রাখেন। ’৬২, ’৬৬, ’৬৯ এর গণআন্দোলনে তিনি ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছয় দফার পক্ষে প্রথম সমর্থনকারী ৫ জন নেতার তিনি একজন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ১ নম্বর প্রশাসনিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুক্তি পাওয়ার পর সেই সময় তিনি আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল্লাহ্ আল হারুন। তিনি অধুনালুপ্ত দৈনিক স্বাধীনতার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮২ সালে তিনি সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের দাবি তোলেন, পরবর্তীতে আন্দোলনের মাধ্যমে তা আদায় হয়।
পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বিএনপি, এরশাদ সরকারের নানা প্রলোভন তিনি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি এগিয়ে এসে দুর্বৃত্তের হাত থেকে মাস্টারদা সূর্যসেনের বসত উদ্ধার করেন। সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। তিনি সামাজিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। সামপ্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনে তিনি আজীবন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাউজানে গহিরা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর পূর্ব–পর্যন্ত তিনি ইউএসটিসির উপ–উপাচার্য ছিলেন। স্বতন্ত্র মহিমায় ভাস্বর আবদুল্লাহ্ আল হারুন ২০০৪ সালের এদিনে (১৩ সেপ্টেম্বর) ইন্তেকাল করেন।
আবদুল্লাহ্ আল হারুনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উত্তর, দক্ষিণ, মহানগর আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সংগঠন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল, শ্রদ্ধা নিবেদনসহ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।