বিরতিহীন বৃষ্টি ঝরছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার,টেকনাফে পাহাড়ধসের সতর্কতা

বিরতিহীন বৃষ্টি ঝরছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ডুবে গেছে নগরীর বহু সড়ক ও অলি-গলি। বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। অনেক এলাকায় বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। রাতেও সেই ভোগান্তি পিছু ছাড়েনি। কারণ বৃষ্টি ঝরেই চলেছে।টানা বৃষ্টিতে  অধিকাংশ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার,নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়ক মোড়ে পানি জমেছে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। বিরামহীন বৃষ্টি ঝরতে থাকায় কক্সবাজার,নগরীর গুরুত্বপূর্ণ  সড়ক থেকে পানি নামার ফুরসত পাচ্ছে না।এবং সাগর উত্তাল থাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকার ফলে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা।জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। অনেক এলাকায় বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টি ঝরেই চলেছে।এদিকে বান্দরবানে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘুমধুম, তুমব্রু সীমান্তবর্তী এলাকায় ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিতে  বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি, সদর, লামা ও রুমা-থানচি সড়কের বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় ধসে জেলার সঙ্গে থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। তবে ধসে পড়া মাটি সরিয়ে হাল্কা যানবাহন চলাচল করছে।আজ বৃহস্পতিবার সকালেও জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।বান্দরবানে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘুমধুম, তুমব্রু সীমান্তবর্তী এলাকায় ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে বান্দরবানের সঙ্গে থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালেও জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫টি গ্রামের শতশত মানুষ। বাসিন্দাদের ত্রাণ সহায়তা প্রদান ও নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে প্রশাসন।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, কক্সবাজারে গত চব্বিশ ঘণ্টায়  ২৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।রাস্তাঘাটে পানি জমায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানামুখী বিড়ম্বনায় পড়েছেন কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া নগরবাসী। অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা-ভ্যান দিয়ে সড়ক পারাপার হতে দেখা গেছে মানুষজনকে।স্থানে স্থানে জলাবদ্ধ সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ হয়ে আছে। গণপরিবহনে উঠতে পোহাতে হচ্ছে তীব্র ভোগান্তি। গণপরিবহন বলতে দুই-একটি যা মিলছে তা কেবলই বাস।বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রয়োজনে কাজে বের হওয়া এমন বহু মানুষ। মূল সড়ক ছাড়া অলিগলিতেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চলাফেরা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।কক্সবাজারের জেলার টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি  বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট  পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে।এলাকা ভারী বৃষ্টির ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় অনেক বাড়ি-ঘর ভেঙে গেছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ।এ ছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে বলেও জানান টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।