কক্সবাজার শহরজুড়ে ময়লা–আবর্জনার স্তুপ জলাবদ্ধতা চরম দুর্ভোগে পর্যটন নগরী

0
7

(রোকসানা আসমা) কক্সবাজার থেকেঃ

চরম দুর্ভোগে পর্যটন নগরী ভারী বর্ষণ হলেই এখন জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তাতে পর্যটকের দুর্ভোগ দেখা দেয়,। শহরের ময়লা–আবর্জনায় নালা-নর্দমা ভরে আছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানি নালা দিয়ে নেমে যেতে পারছে না বলেই শহরজুড়ে এমন জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ যাচ্ছে।এই পর্যটন নগরীতে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করে। পাহাড় কাটার মাটি নেমে এসে নালা ভরাট হওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত সাগর-নদীতে নেমে যেতে পারে না। তাই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। গত জুলাই মাসেও কয়েক দফায় ভারী বর্ষণ হয়েছিল। তখনো শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছিল।
এমন জলাবদ্ধতা আর চোখে পড়েনি জানিয়ে শহরের তারাবুনিয়াছড়ার বাসিন্দা ও বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পৌরসভার মেয়রসহ অধিকাংশ কাউন্সিল আত্মগোপনে যান।একদিকে বঙ্গোপসাগর, অন্যদিকে সদা প্রবহমান বাঁকখালী নদী; তারই মাঝে অবস্থান পর্যটন শহর কক্সবাজারের। অথচ একটু ভারী বৃষ্টি হলেই ডুবে যাচ্ছে এই পর্যটন শহরের রাস্তাঘাট। বন্যার পানি ঢুকে যাচ্ছে বাড়ীঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। তৈরি হচ্ছে চরম জনভোগান্তি।কক্সবাজার শহরে জলাবদ্ধতার পেছনে চারটি কারণ চিহ্নিত করেছে কক্সবাজার পৌরসভা। এগুলো হচ্ছে নালা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, পাহাড় কাটা, বাসা–বাড়ির ময়লা–আবর্জনা নালায় ফেলার কারণে নালা ভরাট হয়ে যাওয়া এবং অপরিকল্পিত উন্নয়ন।ভারী বর্ষণে কক্সবাজার শহরের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। বন্যার পানি ঢুকে যায় বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। তৈরি হয় চরম জনভোগান্তি। বিশেষ করে শহরের সাগর তীরবর্তী কলাতলী পর্যটন এলাকায় এ ভোগান্তি চরম আকার নেয়। এখানেই অন্তত ৩৫০টি হোটেল–মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউস রয়েছে। অধিকাংশ পর্যটক বেড়াতে এসে এখানেই ওঠেন। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, এখন পর্যটনে অফ সিজন চলছে। তারপরও সাপ্তাহিক ছুটিতে কক্সবাজারে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ হাজার পর্যটক আসছেন।

পর্যটন ব্যবসায়ী আশরাফ আলম জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বৃহস্পতিবার শহরের পর্যটন এলাকার প্রায় সব রাস্তাঘাট তিন–চার ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। পর্যটকরা হোটেল কক্ষে বন্দী হয়ে পড়েন। বৃষ্টিতে শুধু কলাতলী নয়, কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক ও ১২টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ড্রেন উপচে ঢলের পানি বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হয় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়া ও সমিতি পাড়া এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের নুনিয়ারছড়া ও নতুন বাহারছড়া এলাকায়। এসব এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here