আজ সোমবার(৫অক্টোবর)শিশুদের জন্য নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য আবাস নিশ্চিত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিশ্ব শিশু দিবস ও জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধনে এ সব কথা বলেন তিনি।বিশ্ব শিশু দিবসে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় এই সীমিত আয়োজনে গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব শিশু দিবস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ।‘শিশুর সাথে শিশুর তরে, বিশ্ব গড়ি নতুন করে’প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব শিশু দিবস ও জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহের অনুষ্ঠানমালা।শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধর উল্লেখ করে, তাদের কল্যাণ ও বিকাশে বঙ্গবন্ধু ও তার সরকারের অবদান তুলেন ধরেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী জানান,শিশুরাই তো জাতির ভবিষ্যৎ।তাদের মেধা, তাদের জ্ঞান, তাদের বুদ্ধি সবকিছুই বিকশিত হবার সুযোগ করে দিতে হবে।করোনায় ঘরবন্দী শিশুদের জন্যেও থেমে নেই প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা।হ্যাঁ, অবশ্যই এইসব ভবিষ্যৎ বংশধরদেরকে তৈরি করতে হবে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে। আর সেটা সম্ভব, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা।শিশুর বহুমূখী বিকাশের সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করারা আশ্বাস দেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হলে শিশুরাই হবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করেছিলেন শিশু অধিকার। শিশুরাই ভবিষ্যতের নেতা।জাতির পিতার দেখানো পথ ধরেই ২০১১ সালে শিশু নীতিমালা ও ২০১৩ সালে জাতীয় শিশু আইন দিয়ে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বাবা-মা বা অভিভাবকদেরকে বলবো করোনাভাইরাসে যেহেতু স্কুলে যেতে পারছে না তাই বাচ্চাদেরকে কাছাকাছি কোন পার্কে বা কোথাও অন্তত এক ঘণ্টার জন্য হলেও নিয়ে যাবেন। ছোটাছুটি, খেলাধূলা করতে পারে সেই সুযোগটা সৃষ্টি করা দরকার বলে আমি মনে করি। আমি সুকান্তের ভাষায় বলতে চাই, ‘এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গিকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, যখন দেখি কোন শিশুর অকাল মৃত্যু সেটা সত্যি আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। সেটা আমার দেখে হোক বা বিদেশে হোক। কিন্তু আমরা চাই শিশুদের জন্য এই পৃথিবীটা একটা নির্ভরযোগ্য, শান্তিপূর্ণ, বাসযোগ্য স্থান হোক।শিশুর সুরক্ষা, বিকাশ ও উন্নয়নে ৫ থেকে আগামী ১১ অক্টোবর ‘আমরা সবাই সোচ্চার, বিশ্ব হবে সমতার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হবে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস।