রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী দল বিএনপি:সেতুমন্ত্রী

 

আজ বৃহষ্পতিবার (৮ অক্টোবর)আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপির টপ-টু-বটম পদত্যাগ করা উচিত বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আজ  সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি জানান,বিএনপি নেতাদের চরম ব্যর্থতায় কর্মিরা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ছে।কত ঈদ গেল, পরীক্ষা গেল, বর্ষা গেল কিন্তু বিএনপির আন্দোলনের মরা গাঙে জোয়ার আসেনা।কখনো ঈদের পর, কখনো বর্ষার পর, আবার কখনো এসএসসি পরীক্ষার পর তাদের আন্দোলন হবে।  তাদের আন্দোলন মুখে-মুখে প্রেস বিফিং-এ আর ফেসবুক স্ট্যাটাসে সীমাবদ্ধ। এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী দল বিএনপি।

সরকার নয় ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিএনপির নেতাদের টপ-টু-বটম পদত্যাগ করা উচিত।’সরকারের নাকি ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যে বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তারা একই ঢোল সকল মওসুমে বাজিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন, নির্বাচনে চরম ভাবে ব্যার্থ বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মত দিশেহারা। তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলনতো দূরের কথা একটু চাপও তৈরি করতে পারেনি। রাজপথে একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি।’কোনো অপকর্ম রাজনৈতিক রঙ দিয়ে আড়াল করতে চায় না সরকার।

এতে সেতুমন্ত্রী আরোও বলেন,বিএনপির আন্দোলন শুধু মুখে আর পত্রিকার পাতায় ও ফেসবুক স্ট্যাটাসে। বিএনপি দেশে-বিদেশে যেখানেই সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র করুক না কেন, সে সম্পর্কে সরকার সজাগ।

সাম্প্রতিক নারীর প্রতি অবমাননা এবং সহিংসতার বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার নিজস্ব অবস্থান স্পষ্ট করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, নোয়াখালীর ঘটনাসহ প্রতিটি ঘটনায় অভিযুক্তদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এসকল ঘৃন্য অপরাধীদের কোন দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না, দলীয় পরিচয় তাদের রক্ষার ঢাল হতে পারে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের আগেই সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, এসব অপরাধ ও ঘৃন্য অপকর্মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান সবসময়ই স্পষ্ট এবং কঠোর। এসকল ঘৃন্য অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিবে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।বিএনপি এসব ঘটনাকে অন্যদিকে ঘোরানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। যখনই কোন ইস্যু পায় তা খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অপপ্রয়াস চালায় বিএনপি। বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভয়ারণ্য তৈরি করেছিলো তা কি তারা ভুলে গেছে? জাতি তা জানতে চায়?বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল, নারী নির্যাতন বিশ্ব বিবেককে হতবাক করে দিয়েছিলো। ফাহিমা, মাহিমা, পূর্ণিমাসহ হাজারো নারী ধর্ষণের স্বীকার হয়েছিলো, কেউই বিচার পায়নি। বিচারের বাণী তখন নিভৃতে কেঁদেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সংখ্যালঘু নির্যাতন ৭১’এর পাক হানাদারদের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিল।

অপরাধী ও খুনীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, পূনর্বাসন করা, খুনীদের লালন-পালন এবং খুন, সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্র বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতি। বেগম জিয়া অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে ৯৮ জন মানুষকে হত্যার বিচার বন্ধে সংসদে ইনডেমনিটি বিল এনে বিচার বন্ধ করেছিলে।

শেখ হাসিনা সরকার যে কোন অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই দেখে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতি, অনিয়ম এবং যে কোন অপরাধের মূলোৎপাটনে সরকারের কোন পিছুটান নেই। প্রতিটি ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে,বিচার হচ্ছে, কোন অপরাধীই রক্ষা পাবে না।

তিনি বলেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে অনেকে প্রকাশ করে না, এজন্য অনেক ঘটনাই আড়ালে থেকে যায়। এধরণের ঘৃণা অপরাধের বিষয় গোপন না রেখে অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের জন্য যেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সময়মত অবহিত করা হয়।