চট্টগ্রাম নগরীর বাজারে আবরো সবজির দাম চড়া।অস্বস্তি আরও বাড়ল।»

 
এস আহমেদ ডেক্স প্রতিবেদন »চট্টগ্রাম নগরীর বাজারে উর্ধ্বমুখী সবজির দাম। কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। সরবরাহ ঘাটতির কারণ দেখিয়ে সবজির চড়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। দাম নাগালে না থাকায় পরিমাণে কম কিনছেন ক্রেতারা।সবজির সরবরাহও যথেষ্ট তারপরেও দাম কমছে না। চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি।বিক্রেতারা জানান বন্যা ও বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণেই সবজির দাম এমন চড়া। তবে বাজারে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে।
 
গত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের আঘাতে মধ্য ও নিম্নবিত্তদের কমে গেছে আয়ের উৎস। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে মধ্য আয়ের মানুষের সেখানে ক্রমান্বয়ে সবজির দামের পাশাপাশি বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও।
চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, সবজি, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ডিমের দামে স্বস্তি নেই। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের আয় কমে যাওয়া, নতুন করে অনেকের দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া, চাকরি হারানো ও ব্যবসায় বিক্রি কমে যাওয়ার মধ্যে বাজারের এই অস্বস্তি অনেক মানুষকে আরও সংকটে ফেলেছে। বিশেষ করে মোটা চাল, সবজি, আলু, পেঁয়াজ ও ডিম—এ পাঁচটি পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে মানুষ। সীমিত আয়ের সংসারে ব্যয়ের বড় অংশ চলে যাচ্ছে এসব পণ্য কেনার পেছনে।
শুক্রবার, (৯,অক্টোবর) নগরীর বিভিন্ন কাচাঁ বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা চিত্র।»
 
নগরীর বক্সিরহাট, বৌবাজার কর্ণফুলী বাজারে সবজির দাম বেশ চড়া।সবজির লাগামহীন উর্ধ্বমুখীতে অস্বস্তি বিরাজ করছে । বাজারে শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকা।ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপি  বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা।আলুর কেজি এখন ৩৬ থেকে ৪০ টাকা। ঠিক এক মাস আগে প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তখন এক সপ্তাহের মতো ওই দাম ছিল। পরে দাম কমে আবার কেজি ৩৫ টাকা হয়। এ সপ্তাহে দাম আবার বাড়ল। বেশিরভাগ সবজি কেজি প্রতি বিক্রয় হচ্ছে এখন ৭০ থেকে ১২০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রয় হচ্ছে ৮৫থেকে ৯০ টাকায়। রসুন কেজি প্রতি ৮০ টাকা ও আদা ১৫০ টাকা। এদিকে কাঁচামরিচ ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। দেশিয় কাঁচামরিচ কেজি প্রতি বিক্রয় হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। ধনেমরিচ বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়।শসার কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, গাঁজর কেজি প্রতি ১২০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা কেজি, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, তিতকরলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কচুর ছড়া ৪৫ টাকার বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি ৯০ টাকা ও সিম ১৬০ টাকা কেজি।
শসার কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, গাঁজর কেজি প্রতি ১২০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা কেজি, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, তিতকরলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কচুর ছড়া ৪৫ টাকার বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি ৯০ টাকা ও সিম ১৬০ টাকা কেজি।
কচুরশাকের আটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা, লালশাক ২৫ টাকা, মুলার শাক ২০টাকা, পালংশাক ৩০ টাকা, লাউ ও কুমড়ার শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা মোড়া প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগীর দাম কমলেও বেড়েছে অন্যান্য মাংসের। ব্রয়লার মুরগী ১২০ টাকা, সোনালী ২১০ টাকা ও দেশী ৩৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা মোটা চালের কেজি ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা, মাঝারি চাল ৫০ থেকে ৫৩ টাকা এবং সরু চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা চাইছেন খুচরা বিক্রেতারা
গত মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৪ টাকা বাড়িয়েছিল কোম্পানিগুলো। নতুন দামের তেল বাজারে এসেছে। এতে পাঁচ লিটারের বোতলের মোড়কে লেখা হয়েছে ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকা।
বিস্তারিত