কর্ণফুলীতে মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যতিক্রমী সাম্পান প্রতিযোগিতা

 
শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর অভয়মিত্র ঘাট (নেভাল টু) এলাকায় ঐত্যিহবাহি কর্ণফুলী নদীতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের দুদিনের সাম্পান উৎসবের সমাপনী দিনে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতা উৎসবের সমাপনী পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিযোগিতায় নয়টি দলকে পেছনে ফেলে ‘শিকলবাহা ব্লকপাড়া শেখ আহমদ মাঝি’র দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।এই প্রতিযোগতায় একাধিক সাম্পান মাঝি অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানও অর্জন করেছেন প্রতিযোগীরা। শনিবার চট্টগ্রাম মাহনগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কর্ণফুলী নদীকে দখল ও দুষণমুক্ত করার প্রত্যয়ে দু’দিনব্যাপী কার্যক্রমের শেষ দিনে সাম্পান প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড় ইছানগর থেকে সাম্পান প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে উত্তর তীরের অভয়মিত্র ঘাট পর্যন্ত শেষ হওয়া এই প্রতিযোগীতায় ১০টি দল অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১ম হয়েছেন শিকল বাহা ব্লক পাড়া শেখ আহমদ মাঝি এর দল, ২য় হয়েছেন চট্টগ্রাম ইছানগর বাংলা বাজার ঘাট সাম্পান মলিক সমিতি সভাপতি মো: লোকমান এর দল, ৩য় হয়েছেন মাদ্রাসা পাড়া, ১নং গেইট, চরপাথরঘাটার পক্ষে মো: তারেকের দল। এছাড়া প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী ৭টি দলকে শান্তনা পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে।
 
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সমাপনী উৎসবে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে যে আনন্দময় ও একটি আয় উপার্জনমুখী জীবনধারা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে, সেটি আজ অনেকাংশে তার ঐতিহ্য হারিয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সেই ধারা ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাসহ দুদিনের সাম্পান উৎসবের আয়োজন করেছে। কর্ণফুলী নদী বাঁচলে আমরাও বাঁচব, দেশও বাঁচবে।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র ক্রীড়া সংগঠক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে কর্ণফুলী নদীকে দখল ও দুষণমুক্ত করার প্রত্যয়ে নগর আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী জনসচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণমূলক কার্যক্রম একটি ইতিবাচক সামাজিক দায়বদ্ধতার সু-প্রকাশ। কর্ণফুলীসহ যেই নদীগুলো এখনো বহমান এগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব অপরিসীম হলেও প্রায় সবকটি নদ-নদী যৌবন হারিয়ে শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, কর্ণফুলী না বাঁচলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারই শুধু হবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির যে উচ্চতায় উর্ত্তীণ করেছেন তা কিছুতেই রক্ষা করা যাবে না। তাই কর্ণফুলীকে দখল ও দুষণমুক্ত করার আন্দোলন কোন আঞ্চলিক ইস্যু নয়, এটা একটি জাতীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের অঙ্গীকার।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, তথ্য গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, হাজী বেলাল আহমেদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাংবাদিক আলীউর রহমান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, চট্টগ্রাম ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান, মাঝি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম প্রমুখ।