চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সড়কে তীব্র যানজটে ট্রাফিক ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পরেছে

সরেজমিনে দেখা
আজ রোববার চট্টগ্রামে যানজটের ভোগান্তি থেকে রেহায় মিলছে না নগরবাসীর।দেশের দ্বিতীয় প্রাণকেন্দ্র হলেও এ শহরের যানযট পরিস্থিতির দিন দিন চরম অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘন্টার পর ঘন্টা অসহনীয় যানযটের কবলে পড়ে অসহায় নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌছলেও অজ্ঞাত সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন প্রদক্ষেপ নেই। চলার গতি হঠাৎ থমকে যায় দীর্ঘ যানজটে। এ অসহনীয় যানজটের মূল কারণ রাস্তার পাশে অবৈধ গাড়ি পার্কিং ও ফুটপাত দখল করে বসা । এ সড়কের দু’পাশে দিনভর অসংখ্য গাড়ি পার্ক করে রাখার কারণে গাড়ি চলাচলের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হওয়ায় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকে এসব এলাকায় । নগরীর প্রায়ই ফুটপাত বেদখলে। সেইসাথে রাস্তার পাশে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং তো আছেই।নগরীর ব্যস্ততম এলাকা খাতুনগঞ্জ কোরবাণীগঞ্জ জেলরোড পাথরঘাটা টেরিবাজার চকবাজার সহ নগরীর প্রধান সড়কের তীব্র যানজট দেখে বোঝারই উপায় নেই প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সকাল থেকে রাত অবধি যানজট এতটাই বাড়ছে যে, ট্রাফিক ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পরেছে কোথাও ট্রাফিক পুলিশের কোন ভূমিকা নেই । দিনরাত তীব্র যানজট লেগেই থাকে। যানজট নগরবাসীর কাছে সবচেয়ে দুর্ভোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরীর ভেতর যানজট নিয়ে বলতে গেলে ব্যস্ততম এই রাস্তার পাশেই লাইন ধরে রাখা হয়েছে ট্রাকগুলো মালমাল উঠানামার জন্য । এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারো নজরদারি না থাকায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের। অনেক্ষণ গাড়িতে বসে থাকার পর পাঁয়ে হেটেই গন্তব্যে ফিরছি। এ যানজট স্থায়ী না হলেও গতি কম থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গাড়ির চালক ও যাত্রীরা।
শহরের মার্কেটগুলো ছিল খোলা, সেখানে নারী পুরুষ এমনকি শিশুদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন মার্কেট মালিকদের দাবি তারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই মার্কেট খুলেছেন, তবে তা সঠিকভাবে পালন করতে দেখা যায়নি দোকানি কিংবা ক্রেতাদের।
যানজটে থাকা পিকআপ ও ট্রাকের চালকারা বলেন, আমরা মালামাল নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু শহরের যানজট দেখে আমরাও বিস্মিত।সড়কগুলো প্রশস্ত করা না হলে আগামী দিনগুলোতে নগরীতে যান চলাচল অচল হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।