আগামীকাল ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

 

আজ সোমবার(০২ নভেম্বর)ঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহবান জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এটাই হোক জেল হত্যা দিবসের অঙ্গীকার।জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জানান,আগামীকাল ৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান বন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাদের স্মরণ করেন। তিনি জাতীয় চার নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।আমাদের স্বাধীনতার পেছনে রয়েছে অনেক সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ। বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দু’দশকের অধিককাল ধরে জাতিকে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর আহ্বানে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।’

রাষ্ট্রপতি বলেন,বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় তাঁর অবর্তমানে ১৯৭১ সালে জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠন, রণ নীতি ও রণ কৌশল প্রণয়ন, প্রশাসনিক কর্মকান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন। জাতি তাদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

রাষ্ট্রপতি আরোও বলেন,

ঘাতক চক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু ঘাতক চক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর আদর্শ চির অম্লান থাকবে।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন- এটাই হোক জেল হত্যা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।’