মঙ্গলবার সকালে নগর ভবনে চসিক বিভাগীয় প্রধান ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধ ও মশকনিধন বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শঙ্কা কাটেনি। আগামী শীত মৌসুমে এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধির আশঙ্কাও করছেন । তাই আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে মাস্ক ছাড়া অবস্থায় কাউকে রাস্তা, বাজার, শপিংমল ও যানবাহনে চলাচল করতে দেখা গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্পট জরিমানা করা হবে। আমরা যদি সচেতন না হই, তাহলে করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া যুক্ত হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই আগে থেকে চসিক মশা প্রজনন উৎসস্থান নির্মূলে শীঘ্রই ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হবে।’ তিনি বলেন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ। সভায় চসিক প্রশাসক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান ও বিভাগীয় প্রধানদের সদস্য করে মশক নিধন কার্যক্রম ও কোভিড-১৯ বিষয়ক একটি টাস্কফোর্স গঠন করেন।
চসিক প্রশাসক বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে যে সকল স্থানে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল আটকে দেয়া হয়েছে, সেখানেই মশক প্রজনন ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই পানি যাতে জমে না থাকে, সে জন্য পানি সরে যাওয়ার বিকল্প পথ তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে। তাই প্রতিটি বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাস স্ট্যান্ড, রেলস্টেশন ও বিমান বন্দর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষকেই নিজ নিজ উদ্যোগে করতে হবে। কাঁচা বাজার, মাছ-মাংসের দোকানে বিক্রেতাদের অবশ্যই গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। মসজিদ মন্দির-গীজা-প্যাগোডায় যারা নামাজ-এবাদত-প্রার্থণা করতে আসবেন তাদের প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে। উপাসনালয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। নামাজ-এবাদত-প্রার্থণার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।