এস আহমেদ ডেক্স প্রতিবেদন » বুধবার, নভেম্বর ৪,সরেজমিন ঘুরে দেখা দিনভর আকাশে ভিড় জমাচ্ছে ঘন কালো মেঘের দল । এতে সারা দিনই রাত বৃষ্টি হয়েছে। জনদুর্ভোগও ছিল বেশি।চট্রগ্রামসহ সারাদেশের কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, কোথাও টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।।কার্তিক মাসের এ বৃষ্টি রাতে ঠান্ডা নামিয়ে দিয়েছে।দেশের জেলাগুলোতে ভারি বৃষ্টি হয়েছে ।এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে খোঁড়াখুঁড়ির ফলে ওইসব জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে পথঘাট কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। মানুষ ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।এতে পা পিছলে ছোট বড় দূর্ঘটনা ঘটছে।আমাদের প্রতিনিধিরা জানান, শহর-গ্রাম সর্বত্রই বৃষ্টিতে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। বৈরি আবহাওয়ার কারণে সারা দেশে নৌ-চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে ক দিন থেকে চট্রগ্রামসহ সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল ভোর থেকে রাত অবধি টানা বৃষ্টি হচ্ছে।এতেই নগরের বেশির ভাগ এলাকা হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। সড়কে যানবাহন চলাচলও থমকে গিয়ে ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সকালে আকাশে কালো মেঘ ও ঝিরঝির বৃষ্টি দেখেও যাঁরা বাইরে বের হয়েছিলেন, তাঁদের সামান্য হলেও বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে। দিন যত গড়িয়েছে, আকাশ থেকে নামা বৃষ্টির পানি রাজধানীর সড়ক-অলিগলিতে তত জমেছে। ১ থেকে ২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায়।নগরী অনেক এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। অনেক নিচু এলাকার ফসলি জমির খেত, পুকুর, মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে।বৃষ্টির সঙ্গে আসা দমকা বাতাসে নদীপথে নৌযান চলাচল মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়
।দেশের কিছু কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলে ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।