নানা জটিলতার কারণে চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষার হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। সরকারি এবং বেসরকারি সাতটি প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন দেড় হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থার বিপরীতে এখন পরীক্ষা হচ্ছে মাত্র ৬শ থেকে ৭শ ।চট্টগ্রামে কমছে না করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬৩টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছে ৮০ জন। এর আগের দিনও ৮০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।স্বাস্থ্যবিধি! অস্তিত্ব শুধু কাগজে কলমে সরজমিন ঘুরে দেখা অফিস বাজার শপিংমল কোথাও তোয়াক্কা নেই নজরদারি নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগের আন্তঃজেলা রুটে পাশাপাশি সিটে যাত্রী বসিয়ে বাড়তি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন। বিভিন্ন অফিস থেকে রাস্তায় দেখা গেছে ৭০ ভাগের বেশি মানুষ স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কা করছেন না। মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার নেই । একই চিত্র গণপরিবহনের ক্ষেত্রেও। নিয়ম অনুযায়ী চালকসহ পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার দিয়ে সব কিছু পরিচ্ছন্ন রাখা বাধ্যতামূলক। বাস্তবে এর বালাই নেই।বিশেষ করে বাজার ও আড়ত, বাস টার্মিনাল, মার্কেট-ফুটপাথের চিত্র দেখলে চোখ একেবারেই কপালে ওঠার মতো অবস্থা। এ তো গেল চট্টগ্রামের কথা। সারাদেশের চিত্র আরও ভয়াবহ।গ্রাম ও উপজেলা শহরগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানেন না। করোনাকে তোয়াক্কা করছেন না কেউই। বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। করোনা বলে ছোঁয়াচে কোন প্রাণঘাতী রোগ আছে- তা মাঠের চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই। জনসচেতনতার অভাবে তরুণরা আরও বেপরোয়া। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েই গেছে।প্রশ্ন হলো কোভিড টেস্ট কমে গেছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল আছেই। সরকারের পক্ষ থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা বহাল আছে। অফিস, দোকান, মার্কেটসহ শপিংমল খোলা ও বন্ধের নির্দেশনাও কার্যকর। গণপরিবহন চালুর নির্দেশনা আছে। সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে পরিপত্র জারি করেছে সরকার। কিন্তু কেউ কিছু মানছেন না। অর্থাৎ কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই! অথচ সরকারের সব পক্ষ থেকেই বার বার বলা হয়েছে, মাস্ক না পরলে জেল-জরিমানার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে দেশজুড়ে।