আজ শুক্রবার(০৬নভেম্বর) বর্ষ পঞ্জিকায় শীত এখনো আসেনি। তবে প্রকৃতিতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে শীতের উপস্থিতি। হেমন্তকাল প্রায় শেষ। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে চট্রগ্রামসহ আশেপাশে জেলাগুলিতে শীতের আমেজ।এতে শীত মৌসুম শুরু হতে সপ্তাহখানেক বাকি থাকলেও শীতের আমেজ জেঁকে বসতে শুরু করেছে বিভিন্ন অঞ্চলে।হেমন্তকালে শীতের এ আগমনিতে কাপড়ের দোকানিরা বাহারি রঙ ও সাজের গরম পোশাকের পশরা সাজিয়ে বসেছে। তাই নগরীর বিপনি-বিতান ও শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানে দোকানেও শোভা পাচ্ছে বাহারি রংয়ের শীতের পোশাক।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,রিয়াজউদ্দিন বাজারের অধিকাংশ পাইকারি কাপড়ের দোকান ভরে উঠেছে হরেক রকমের শীতের পোশাকে। এসব শীতবস্ত্রের মধ্যে রয়েছে কোট, জ্যাকেট, সুয়েটার ও বাহারি ডিজাইনের শাল।এছাড়া এসব পাইকারি দোকান থেকে পাইকারি মূল্যে কিনে নিয়ে গিয়ে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হয় অনেক মার্কেটে। এসব খুচরা বাজারের বিক্রেতারা নিজেদের দোকানে এখনো পুরোদমে শীতের কাপড় তোলার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলে জানালেন পাইকারি বিক্রেতারা।রাস্তার দু’ধারে দোকানিরা ফুটপাতে সাজিয়ে রেখেছে শীতের রঙ-বেরঙের বাহারি কাপড়। ক্রেতাদেরও ভিড় লক্ষণীয়। কেউ কেউ শীত আসার আগেই গরম পোশাক কিনতে এসেছে একটু কম দামে পাবে সেই আশায়। আর দোকানিরাও নিয়ে বসেছেন, গাইটের বাহারি পোশাক।আর কিছু কিছু পোশাক অধৌত এবং ছেঁড়া। পোশাকের ডিজাইন (নকশা) ও পরিচ্ছন্নতা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে কাপড়ের দাম। ক্রেতাদের ভিড় থেকে কেউ কেউ কিনছেন তাদের রুচি ও সামর্থ্য অনুযায়ী কাপড়। আবার কেউ কেউ শুধু কাপড় দেখেই ফিরছেন খালি হাতে।
শীতের আমেজ অল্পসল্প বইতে শুরু করায় নানা ধরণের শীত পোশাক মজুদ করেছি দোকানে। তবে এখনো পুরোদমে বেচাবিক্রি হচ্ছে না। একই সুরে কথা বললেন রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি পোশাক বিক্রয়কারীরা বলেন,’এতোদিনের তীব্র গরমের পর ধীরে ধীরে শীতের হাওয়া বইতে শুরু করায় দোকানে নানা ধরণের শীতের পোশাক মজুদ করেছি।মাঝে মাঝে দুই একজন ক্রেতা আসছেন, তাও খুচরা ক্রেতা। আমরা মূলত পাইকারি বিক্রি করি। আমাদের অধিকাংশ হচ্ছে ক্রেতা হচ্ছে খুচরা বাজারের দোকানিরা।পাইকারি মূল্যে এসব পণ্য কিনে নিয়ে গিয়ে খুচরা মূল্যে বিক্রি করে। কিন্তু খুচরা বাজারের এসব বিক্রেতারা এখনো খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। হয়তো আর কয়েকদিন পর জমে উঠবে শীত কাপড়ের বাজার।সামনে শীত আরেকটু বাড়লে হয়তো আসতে আসতে বেচা বিক্রি জমে উঠবে পুরোদমে। এছাড়া প্রতি বছর বিভিন্ন কেজি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের স্কুল সোয়েটারের প্রচুর বিক্রি হয়। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় সেসবও বিক্রি হচ্ছে না। বাজার জমে উঠলে আমাদের প্রতিদিন গড়ে ৪/৫ লাখ টাকার কাপড় বিক্রি হয়। এখনো সেরকম বিক্রি না হলেও আশা করছি আরেকটু শীত নামলে জমজমাট বেচা বিক্রি হবে।’
‘