মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও এলাকায় একটি তেলবাহী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ২২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ৮ নভেম্বর, রোববার সকাল ১০.২৫ টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধারের পর এখন ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামত করছে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ। রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে সাতটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়েছে। এতে কয়েক হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের গন্তব্যে পৌঁছা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি ৮ নভেম্বর, রোববার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন রেলওয়ের প্রকৌশলীরা লাইন মেরামতের কাজ করছেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে আরও দুই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার মো. মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতান আলী বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত তেলবাহী ট্রেনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন লাইন মেরামতের কাজ চলছে। রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে আরও ঘণ্টা দুই সময় লাগবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৭ নভেম্বর, শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শ্রীমঙ্গলে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে, জয়ন্তিকা, উদয়ন, পারাবত, পাহাড়িকা ও উপবন ছেড়ে যায়নি। এছাড়া ঢাকা থেকে আরও দুটি ট্রেন সিলেট আসার কথা ছিলো। এর মধ্যে পারাবত ও উদয়ন ঢাকায় এবং উপবন চট্টগ্রামে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে ওই ট্রেনগুলোর যাত্রা বাতিল হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন সিলেটের ট্রেনযাত্রীরা।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।