আজ সোমবার(১৬নভেম্বর)রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন নামে ফেসবুকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি জানান,সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী হয়রানি প্রতিরোধে বিশেষ সেবা চালু করেছে পুলিশ।সাইবার ওয়ার্ল্ডে নানা ধরনের অপরাধের শিকার নারীরা এর মাধ্যমে তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং আইনি সহায়তা পাবেন বলে জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সাইবার স্পেসে নারীর বিচরণ বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হয়রানি, প্রতারণার শিকার হয়।এসব অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৬টি বিভাগ কাজ করে চলেছে।ঘটছে যৌন নিপীড়নের ঘটনাও। এ ধারাবাহিকতায় যাত্রা শুরু করলো পুলিশ সাইবার সার্পোট ফর উইমেন নামের বিশেষ সেবার ফেসবুক পেইজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নারীর স্পর্শকাতর ছবি ছড়িয়ে দিয়ে যৌন হয়রানি ও ব্ল্যাকমেইলসহ আইডি হ্যাক এবং ফেইক আইডি তৈরি করে অপপ্রচার ও সামাজিকভাবে হেয় করার বিরুদ্ধে কাজ করবে এই ফেসবুক পেইজ।
পুলিশ সাইবার সার্পোট ফর উইমেন নামের ফেসবুক পেইজটি বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও পরামর্শ প্রদান, নারীর জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস তৈরি, সাইবার স্পেসে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের প্রযুক্তি ও আইনি সহায়তা প্রদান, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও ভিকটিমের গোপনীয়তা রক্ষা করা।
পেইজের যাত্রা উপলক্ষে অনুষ্ঠানে পুলিশ প্রধান বলেন,দেশে নানাভাবে সাইবার অপরাধের শিকার হন ৬৮ শতাংশ নারী।সাইবার ক্রাইম হচ্ছে গ্লোবাল ফেনোমেনা। এটির কোন বাউন্ডারি নেই, এটা বাউন্ডারি লেস একটি ক্রাইম। সাইবার ওর্য়াল্ডে সবচেয়ে বেশি অপরাধের শিকার হয় নারীরা। তাদের বয়স সাধারণত ১৬ থেকে ২৪। এই গ্রুপের নারীরাই বেশি ভিকটিম হয়।নারীর জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস তৈরি ও সকল অপরাধের আইনি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন আইজিপি।
আইজিপি জানান, আমরা অবশ্যই চাইবো না যে আমাদের সমাজে কোন নারী এই ধরনের সাইবার ক্রাইমের শিকার হন বা ব্ল্যাকমেইলের শিকার হন। নারীর প্রতি শ্রদ্ধা, পারিবারিক আচরণগত শিক্ষা ও সুষ্ঠু বিনোদন সাইবার অপরাধ কমাতে পারে।বেনজীর আহমেদ বলেন, সাইবার স্পেসকে নারী, শিশু এবং সকল মানুষের জন্য নিরাপদ করবো।