,কক্সবাজারের কলাতলী সৈকত থেকে দেশের শেষ প্রান্ত টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ হওয়ায় কক্সবাজারের সুনীল সমুদ্র অবলোকনে দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে। এছাড়া এ সড়ক পাল্টে দিয়েছে সেখানকার মানুষের জীবনযাপনও। মেরিন ড্রাইভ ঘিরে মহাসড়ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রামুর ফঁতেখারকুল, উখিয়ার মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। কক্সবাজার লিংক রোড থেকে লাবনী মোড় পর্যন্ত চারলেনের মহাসড়কের কাজও সহসা শেষ হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন রবিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কক্সবাজারের পেকুয়ায় নৌবাহিনীর ‘শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটি’ সংযোগ সড়ক প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পেকুয়া স্টেডিয়ামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের এমপি জাফর আলমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ (রামু-কক্সবাজার সদর) আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাছেম বিল্লাহ, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমসহ কক্সবাজার জেলা, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কক্সবাজার ঘিরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ওপর একটি গান গেয়ে শোনান মিরাক্কেল তারকা চকরিয়ার সন্তান কমর উদ্দিন আরমান।
জনসভায় উপস্থিত জনতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিএনপির চলমান রাজনীতি নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সম্প্রতি রাজধানীতে সাতটি বাসে আগুন দেওয়ার মধ্যদিয়ে বিএনপি আবারও জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি শুরু করেছে। অপরাজনীতির জন্য জনগণ বিএনপির আন্দোলনে সাড়া না দেওয়ায় দলটির নেতাকর্মীরা হিংসা চরিতার্থ করতে আগুন-সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার সব দলের রয়েছে। কিন্তু কর্মসূচির নামে জনগণের শান্তি ও স্বস্তি বিনষ্টের কোন অপচেষ্টা করলে সমুচিত জবাব দেবে সরকার। কারণ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে বিএনপি। ভিডিওচিত্রেও সব প্রকাশিত হয়েছে। মুখচ্ছবি কখনো মুখোশ দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। কথামালার চাতুরি দিয়ে সব ভুলিয়ে রাখা যায় না।
বিএনপির অবস্থান দ্বিমুখী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যে কোন নির্বাচনে পরাজিত হলেই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। আবার কোন নির্বাচনে জয়ী হলেই বলে নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপ হয়েছে, অন্যথায় বিএনপির প্রার্থী আরো বেশি ভোটে বিজয়ী হতে পারতো।