নূরনবি রাসেল মিরসরাই প্রতিনিধিঃ আজ মঙ্গলবার(২৪নভেম্বর) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের নিন্মআয়ের মানুষগুলো দিনদিন কর্মহীন হয়ে পড়ছে।এতে কৃষি জমি অধিগ্রহণ করে সরকারী বেসরকারি ভাবে গড়ে উঠছে শিল্প, কল-কারখানা। কৃষি জমির পরিবর্কৃতন করে অকৃষি খাতে ব্যবহারের ফলে কৃষকদের পরিবারে নেমে এসেছে হতাশা। কৃষি জমি গিলে খাচ্ছে ইট-পাথরের দালান। তিন ফসলী কৃষি জমি অধিগ্রহণ না করতে মানববন্ধন করেছে কৃষকরা। আজ উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের জয়পুর পূর্ব জোয়ার মৌজার প্রায় ৩৭ একর তিন ফসলী জমি রয়েছে একটি মাঠে। মাঠের আশপাশে কৃষকদের বাড়ী ঘর। কৃষি নির্ভর এই এলাকার মানুষ সারাবছর এই জমিতে ধান, ডাল, মৌসুমী সবজি খেয়ে বাঁচে। নিজের খেতে চাষ করা ফসলে সারা বছর তাদের সংসারের চাহিদা পূরণে করে আনন্দে কেটে যায়। সেই ৩৭ একরের মধ্যে ২৫ একর জমি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল এ শাখা থেকে অধিগ্রহণের চিঠি পেয়ে এখন তাদের পরিবারের নেমে এসেছে চরম অনিশ্চয়তা। সরকারের কাছে তাদের দাবি বিদ্যুৎ নয়-খাবার চাই ফসলী জমির বিকল্প নাই’।‘ফসলী জমি ধ্বংস করে বিদ্যুতায়ন, অশুভ
চক্রান্ত রুখে দাঁড়াও জনগণ’,‘বিদ্যুৎ নয় খাবার চাই, ফসলী জমির বিকল্প নাই’,‘বাপ-দাদার তিন ফসলী জমি লুটে নিতে
চায় কোন হারামী’-সহ বিভিন্ন বক্তব্য ব্যানার, ফেস্টুনে তুলে ধরে ফসলী জমিতে মানববন্ধন করেন তারা।
বাপ-দাদার কৃষি জমি হারিয়ে কৃষি পেশা ছেড়ে এখন তারা পরিবার নিয়ে খাবে কি? এ প্রশ্নের উত্তর দেন জানা নেই। এই ৩৭
একর জমির প্রায় ১৬৬ জন মালিক, বর্গাচাষী এবং এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা মিলে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানান। ভূমি অধিগ্রহণ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।