চট্রগ্রামে মশা মাছির জ্বালায় অতিষ্ঠ ?

 
মহামারি আকার নেয়া করোনা ভাইরাস আতঙ্কে পুরো বিশ্ব। সংক্রমণ রোধে দেশে দেশে চলছে অঘোষিত যুদ্ধ ‘’। চট্টগ্রামে করোনো আতঙ্কের মধ্যে মশার উৎপাত, অতিষ্ঠ নগরবাসী তবে নগরজুড়ে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরে থাকতে পারছে না নগরবাসী। মশার চরম উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরবাসী মশারি টানিয়ে, কয়েল জ্বালিয়ে, ইলেকট্রিক ব্যাট কিংবা মশানাশক ওষুধ স্প্রে করেও রক্ষা পাচ্ছে না। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে মশক নিধন কার্যক্রম। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন নগরবাসী।
 
সূত্র জানায় নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে মশার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় নালা-নর্দমায় জমাট হয়ে আছে পানি। সেখানে ডিম ছাড়ছে ‘ফাইলেরিয়া’সহ বিভিন্ন রোগের জীবণুবাহী মশা। বর্ষায় অতি বৃষ্টির ফলে এসব ডিম বা লার্ভা ধ্বংস হয়ে যায়। তবে শুষ্ক মৌসুমে পানি জমাটবদ্ধ হয়ে থাকায় ধ্বংস হয় না। তাই এসময়টাতে মশার লার্ভা ধ্বংসকারী ওষুধ ছিটানোর ওপর জোর দিতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, মশার কামড়ে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও চর্ম রোগের প্রকোপ অত্যধিক হয়। মশার উৎপাত বাড়ায় গত বছরের মতো এবারো চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।সূত্র জানায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে চার হাজারেরও বেশি মানুষ।
 
নগরীর বিভিন্ন এলাকার নালা-নর্দমায় মশার লার্ভা এবং পূর্ণাঙ্গ মশা কিলবিল করতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি খালের মুখ বন্ধ থাকায় নালা-নর্দমায় পানি স্থির হয়ে আছে। এসব স্থির বা আবদ্ধ পানিতেই জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডেও চলমান নালা-নর্দমার সংস্কার কাজ চলছে ধীরগতিতে। স্থির পানির কারণে বাড়ছে মশার উপদ্রব। নগরীবাসীর অভিযোগ, মশা নিধনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো প্রকার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। পুরো মশক নিধন কার্যক্রমই যেন স্থবির হয়ে আছে। তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) জানিয়েছে, নালা-নর্দমায় মশার ডিম বা লার্ভা ধ্বংসকারী ‘লার্ভিসাইড’ ছিটানো অব্যাহত রয়েছে।, নগরজুড়ে মশার উৎপাতে বাড়িতে থাকা কষ্টকর। সন্ধ্যা হতে না হতেই মশার কামড়ে জনজীবন অস্থির হয়ে পড়ে। বিভিন্ন নালা, নর্দমা, খালগুলো ভরাটের ফলে পানির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মশার উৎপাত বন্ধ করতে এখনই জোরালো উদ্যোগ নেয়া জরুরি। পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা বলেন, মশার জ্বালায় বাসায় ছুটির দিনগুলো অসহ্য হয়ে উঠছে। মশার অত্যাচারে শান্তিতে থাকা যাচ্ছে না। বর্তমানে এ উপদ্রব আগের চেয়ে হাজার গুণ বেড়েছে। কিন্তু সিটি করপোশেনের লোকজনকে এখানে মশার ওষুধ ছিটাতে দেখি না।