‘আজ সোমবার (২৮ডিসেম্বর) আমরা কোয়ালিটি পুলিশ চাই, কোয়ালিটি সার্ভিস চাই। কোয়ালিটি পুলিশ তৈরির দায়িত্ব পুলিশের ট্রেনিং সেন্টারের। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর। সৎ, যোগ্য এবং আদর্শ পুলিশ অফিসার ও ফোর্স তৈরির যোগ্যস্থান পুলিশ একাডেমী।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) আজ সোমবার বিকালে চেমনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা, রাজশাহীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। একাডেমীর প্রিন্সিপাল খন্দকার গোলাম ফারুক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, সারদা থেকেই প্রতিটি পুলিশ সদস্যের অন্তরে নীতিবোধ ও নৈতিকতার বীজ এমনভাবে বপন করতে হবে, যা তারা আজীবন ধরে রাখতে পারে।
আইজিপি বলেন, জনগণের সাথে দুর্ব্যবহারকারী, দুর্নীতিবাজদের আমরা পুলিশে দেখতে চাই না। আমরা পুলিশে জঞ্জাল পরিষ্কার করতে চাই। আমরা ভাল পুলিশ চাই। বাংলাদেশ পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
প্রশিক্ষকদের আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, প্রতিটি প্রশিক্ষণার্থীকে এমন যত্ন নিয়ে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা প্রত্যেকে এক একজন পেশাদার পুলিশ সদস্য হিসেবে দেশের সেবা ও জনগণের কল্যাণে অবদান রাখতে পারে।
আইজিপি জানান, আমরা পুলিশে পরিবর্তনের সূচনা করেছি। আমাদেরকে পরিবর্তন হতে হবে। এটা যুগের
প্রয়োজন, সময়ের চাহিদা।
তিনি আরোও বলেন, পুলিশের প্রশিক্ষণে পরিবর্তন আনা হয়েছে, প্রশিক্ষণ মডিউল নতুন করে সাজানো হয়েছে। আমরা পুলিশের প্রশিক্ষণকে প্রায়োগিক করতে চাই।
সভায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যগণ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আইজিপির দিকনির্দেশনা চান। আইজিপি উত্থাপিত বিষয়গুলো সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে আইজিপি আজ সকালে একাডেমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে আগামী ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ৩৭তম সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের প্রস্ত্তুতি পরিদর্শন করেন।