চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রথম দফায় পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ১০ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান মেয়র বদিউল আলম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৩০ ভোট। এছাড়া মোবাইল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।এছাড়া নতুন দুজন কাউন্সিলর ছাড়া বাকি সবাই পুরনো কাউন্সিলর পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন, আনোয়ার ভুঁইয়া, বদিউল আলম জসিম, শামসুল আজাদ(বিএনপি), হারাধন চৌধুরী বাবু, শফিউল আলম মুরাদ, দিদারুল আলম এপোলো, ফজলে এলাহী পায়েল, মফিজুর রহমান, জুলফিকার আলী শামীম।সরেজমিন বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটাররা ভোট দেয়ার দীর্ঘ লাইন দাঁড়িয়ে আছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। দুপুর সোয়া ১টার সময় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলম শফি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইভিএম মেশিন ভাঙচুর করা হয়। এ সময় কেন্দ্রের বাইরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সকালে পৌর সদরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ কেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া করেছে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীরসহ তার লোকজন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাই স্কুল কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতেই সহকারী রিটার্নিং অফিসার বুলবুল আহমেদ সূত্রে জানা যায়।, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদিউল আলম নৌকা প্রতীকে ১০ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭২ ভোট।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ড পৌরসভায় মােট ভােটার সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভােটার ১৭ হাজার ৮২৭ জন ও মহিলা ভােটার ১৬ হাজার ৯৮৬ জন। ৯টি ওয়ার্ডে ভােট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭টি।
এর আগে সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ১৭টি কেন্দ্রের ৯৮টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদিউল আলম, ধানের শীষ প্রতীকে আবুল মনছুরসহ তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
